খুলনা বাদে ৪ সিটির মেয়র পদেই আসছে আওয়ামী লীগের ‘চমক’
১২ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৪৯
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিতের লক্ষ্যে খুলনা বাদে চার সিটিতেই স্থানীয় জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই নৌকা উপহার দিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ফের মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এখন কেবল ঘোষণার অপেক্ষা। তবে বাকি চার সিটিতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নে চমক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।
বিএনপি সিটি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না- সেই ভাবনা মাথায় নিয়েই জনপ্রিয়তাকে মাপকাঠি করে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে বরিশালে সাত জন, গাজীপুরে ১৭ জন, সিলেটে ১০ জন, খুলনায় চার জন এবং রাজশাহীতে তিন জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়। গাজীপুরে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে রাজশাহী সিটিতে নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে নৌকার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং সিলেটে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হন।
তবে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এবং তিনি সেখানে শহিদের সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার পর ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের সাত দিন পর তাকে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত করে সরকার। এর পর চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমা করে।
এদিকে, মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের বিষয়ে গত ২৮ মার্চ শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ৩০ মার্চ দিন ঠিক করেন আদালত। ওইদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৪ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করা হয়। তবে এদিনও রায় ঘোষণা করেননি হাইকোর্ট। পরে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ মে ফের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত জাহাঙ্গীর আলমসহ মোট ১৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেছেন। গত বছর ১৯ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন মহানগর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে আজমত উল্লাহ খান পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আতাউল্লাহ মণ্ডল। জাহাঙ্গীর বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তবে দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আগে রাজধানীসংলগ্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা দলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এক্ষত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের নাম দলীয় হাইকমান্ডে জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটির বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন। এখন কেবল ঘোষণার অপেক্ষা। ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনসহ খুলনার স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তিনি ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রুনু রেমা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
এদিকে, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় নতুন জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে রাজশাহীর স্থানীয় রাজনীতিতে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও ডাবলু সরকার বলয়ের মধ্যে নানামুখী দ্বন্দ্ব ও সংকট প্রকাশ পেয়েছে। যা গণমাধ্যমেও এসেছে। তাই আগামী সিটি নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ড মেয়র পদে কী সিদ্ধান্ত নেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা।
বরিশাল সিটিতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এর আগে, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র বাসভবনে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিবাদ দেখা দেয়। পরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সমস্যার সমাধানও হয়। এবারও স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তায় তিনি মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তবে এবার সাদিক আবদুল্লাহর আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এতে দলীয় মনোনয়ন ভাতিজা নয় চাচা’ই পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন দলীয় নেতারা।
কারণ, ২৫ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনের জনসভা মঞ্চে সাদিক আবদুল্লাহ’র জন্য হাইকমান্ডের নির্দেশনায় মঞ্চে আসনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পাস ইস্যু করা হয়নি। পরে তা নিয়ে বরিশালের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে টুঙ্গিপাড়া যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ার বাসভবনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ সস্ত্রীক দেখা করেন। তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বরিশালজুড়ে নতুন কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। তাই এবার বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে খায়ের আবদুল্লাহ মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত চার বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবারই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। করোনাভাইরাস মহামারির সময় ২০২০ সালের ১৫ জুন মারা যান তিনি। তবে এবার সিলেট সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নের ক্ষেত্রে চমক আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারকরা। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মহানগরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে দোয়াও চেয়েছেন । ইতোমধ্যে তিনি দুই দফা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি ছাড়া আরও নয় জন মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেছেন।
পাঁচটি সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মোট ৪১জন প্রার্থী ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ১৫ এপ্রিল সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মেয়র পদে নৌকার প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে ২৫ মে, খুলনা ও বরিশাল সিটিতে ১২ জুন এবং সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ২১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৭ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ মে থেকে ৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।
দ্বিতীয় ধাপে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৬ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ মে, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৯ মে থেকে ২১ মে, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ১২ জুন। আর তৃতীয় ধাপে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২৬ থেকে ২৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ২৯ থেকে ৩১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন এবং ভোটগ্রহণ হবে ২১ জুন।
বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ না নিলেও সমর্থিত ঘোমটা পরা প্রার্থীরা ভোটের মাঠে থাকতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পাশাপাশি ভোটের মাঠে অন্য দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ অংশ নিলেও দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের বাধা হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তারা। কারণ, ২০০৮ সালের পর অনুষ্ঠিত বেশিরভাগ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, সিটি নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ তাদের জনপ্রিয়তা ও ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক শক্তির পরিচয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চায়। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট করে বিতর্কের বাইরে থাকতে চায় দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। সেই প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আমরা জানি, সার্বিকভাবে পাঁচ সিটি করপোরেশনে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে। আর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মানুষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন অব্যশই গুরুত্ব বহন করে। সেই গুরুত্ব থেকেই আওয়ামী লীগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন, সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী সংগঠন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি। সে কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। তবু আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জরিপের ফলাফল এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই সেরা প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক নতুন মুখ মনোনয়ন প্রার্থনা করেছেন। সেইসঙ্গে দলের স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত নেতারাও মনোনয়ন চেয়েছেন। আমাদের সংগঠনের মাননীয় সভাপতি সবকিছু বিবেচনা করেই সবচেয়ে যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন।’
জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে? জানতে চাইলে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছে যেকোনো নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থিতা- সবকিছুই দলের একটি নিজস্ব ম্যাকানিজম অনুসরণ করেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। সামনে একটি জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই পাঁচটি সিটি নির্বাচন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইব, সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাকে প্রমাণ করতে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করতে।’
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম