এবার ঈদযাত্রা ছিল ঝামেলামুক্ত: ওবায়দুল কাদের
২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:০৭
ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার একটা ঝামেলামুক্ত ঈদযাত্রা করেছে মানুষ। ফিরতি যাত্রাও যেন ঝামেলা ছাড়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে ছুটি কাটিয়ে প্রথম কর্ম দিবসে নিজ দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার আমরা একটা হ্যাসেল ফ্রি ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। এবার যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক এবং ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এরচেয়ে হ্যাসেল ফ্রি যাত্রা গত অনেক বছর ধরে হয়ে ওঠেনি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি। আমাদের সবার সন্দেহ ছিলো পদ্মায় মোটরসাইকেল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। বাইকারদের অসন্তোষ ছিলো, তারপরও আমরা সার্বিক সংকট হবে বলে বন্ধ রেখেছিলাম কয়েকমাস। চালু করে দেখেছি আমাদের তরুণরা যে শৃঙ্খলার সঙ্গে চালিয়েছে তা অনন্য সাধারণ। সুশৃঙ্খলভাবে তারা পদ্মা সেতুতে যাতায়াত করে চলেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুর রুটে বিআরটি প্রজেক্ট নিয়ে শঙ্কা ছিলো। কিন্তু মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পেরেছে। মানুষের ফিরে আসা শুরু হবে। ঘরমুখো যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিলো, তেমনি ফিরে আসাটাও যেনো স্বস্তিদায়ক হয়। ঈদের আগে সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও পরের যাত্রায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় একটু কঠোরভাবে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।’
কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা নিরাপদ করার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। এবার সবাই ইতিবাচক বলছে, স্বস্তিদায়ক যাত্রা হয়েছে, সেটা সবাই বলছেন। যেভাবে এবার আমাদের কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব পালন করেছেন, সেটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে। কেউ কাজে ফাঁকি দিয়েন না। কাজকে ফাঁকি দেওয়া মানে দেশকে ফাঁকি দিয়েছেন। বিশ্ব সংকটের মধ্যে আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা সামনে থেকে দেখেছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বছর নির্বাচনের বছর। অনেকগুলো কাজ আমাদের রয়ে গেছে। এমআরটি লাইন-৬ এ বছর শেষ করার কথা বলেছি, সেভাবেই কাজ এগুচ্ছে। আমরা একটা প্রকল্পে পিছিয়ে ছিলাম বাস র্যাপিড ট্রানজিট, সেটা অনেকটা ইমপ্রুভ করেছে। এবার যানজটের বিড়ম্বনা সেভাবে সইতে হয়নি। কোথাও তেমন কোনো কমপ্লেইন আসেনি। আমরা ভবিষ্যতের জন্য আরও কিছু কাজ আছে, সেগুলো শেষ করতে হবে। ঢাকা-সিলেট শুরু হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৬ লেন করতেই হবে। খুলনা-যশোর, নড়াইল থেকে বেনাপোল, ভাঙ্গা-বরিশাল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এগুলো করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সারাবাংলা/জেআর/এমও