ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিজে নির্বাচন করবেন না, কিন্তু নির্বাচন করতে দেবেন না- এই দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেই। এটা কি মামার বাড়ির আবদার! নির্বাচন করতে দেবেন না সেটা আমরা বঙ্গবন্ধু সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে হতে দেব না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের অন্তর্গত সব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে আপনাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। আন্দোলনে যারা ব্যর্থ তারা এখন সন্ত্রাস করবে। তারা এখন ভয় দেখাবে। তারা আগুন নিয়ে আসবে।’ তাই দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি দেশে দেশে নালিশ করে, আমাদের করার দরকার নেই।‘
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক সরে গিয়ে যে ভুল করেছে, আজ তারা তা শুধরাতে চায়। বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে আমাদের বাজেট সহায়তা হিসেবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি, কথাবার্তা হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ওয়াশিংটন গেছেন নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য। মানুষের কষ্ট লাঘবে, বিশ্ব সংকটে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বিএনপির মতো দেশ বিক্রি করে সাহায্য নিচ্ছি না, অর্থনৈতিক সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে নিচ্ছি। সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাবলিক বিএনপির আন্দোলনে আসেনি। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিএনপি এদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষক। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির তুলনা চলে না। আমরা আমাদের আদর্শ, নীতি ও বাংলাদেশ জন্মের চেতনায় অবিচল। এখান থেকে কোনো শক্তি আমাদের সরাতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতির ইতিহাস হচ্ছে, যারা আন্দোলনে জেতে তারাই নির্বাচনে জেতে। বিএনপির গণআন্দোলন মানুষ দেখতে পায়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না তাদের আন্দোলনে। একটা কর্মসূচিও হালে পানি পায়নি। বাস্তবে ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু, আদালত হিমাগারে পাঠিয়েছে। চালু করা সমীচীন নয়।’
পরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়নের মধ্যদিয়ে রংপুর বিভাগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রমুখ।