এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০০:০৭
ঢাকা: আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। দেশের সব কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে পরীক্ষার সরঞ্জাম।
এবার নয়টি সাধারণসহ মাদরাসা ও কারিগরি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষায় বসবে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। যা গতবারের থেকে ৫০ হাজার ২৯৫ জন বেশি। প্রথম দিন নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলা (আবশিক) প্রথম পত্র, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র।
এ বছর নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পর শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস পাঠ্যসূচিতে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সময় থাকছে ৩ ঘণ্টা। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিলে সেই পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি তথ্য একটি রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতে হবে। পরীক্ষার দিনই সেসব তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। নিয়মানুযায়ী, ট্রেজারি বা থানা থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে খুদে বার্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে কোন সেটে সেদিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা (কোড জানানো হয়) জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ মুঠোফোন কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। আর কেন্দ্র সচিবও ছবি তোলা যায় না- এমন একটি সাধারণ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।
শিক্ষা বোর্ড বলছে, ইতোমধ্যে সব কেন্দ্রে উত্তরপত্রসহ পরীক্ষার আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি পৌঁছে গেছে। এবার প্রশ্নপত্র থানা থেকে বের করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবারও। প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে বণ্টন প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কেন্দ্রের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নজরদারি করবে। কেউ গুজব ছড়ালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ২৫ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মনিটরিং ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন আর ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন আর ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন এবং ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এ বছর ২৯ হাজার ৭৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম