আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আজমত উল্লাহকে ইসিতে তলব
৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০০
ঢাকা : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে নির্বাচনে কমিশনে তলব করা হয়েছে। শোকজের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সই করা একটি চিঠি আজমত উল্লাহকে পাঠানো হয়েছে। ইসির সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে মনোনয়পত্র দাখিলের প্রাক্কালে সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন করার ফলে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না অথবা তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ৭ মে বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখা দিতে হবে।
এ ছাড়া, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র) হিসেবে যাতে দলীয় কার্যক্রম গ্রহণকালে অথবা অন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণে আচরণবিধি মেনে চলেন তার জন্য পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে পত্র মারফত অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যাতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণকালে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণসূচি জারি করেন। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার জ্ঞাত হয়ে মন্ত্রীদ্বয়ের একান্ত সচিবগণকে নির্বাচনি আচরণবিধির বিষয়টি অবগত করেন। একইসঙ্গে তিনি পত্র মারফত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদ্বয়ের একান্ত সচিবগণকে অবহিত করেন। এরপরও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার জন্য সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২বিধিতে বিধান রয়েছে। তা ছাড়া আচরণ বিধিমালার বিধি ৭, বিধি ১৩, বিধি ২০, বিধি ২৫ অনুযায়ী সভা সমিতি অনুষ্ঠান, যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার, প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন ইত্যাদি না করার বিষয়ে বিধান রয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/একে