এপ্রিলে বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য বেড়েছে
৫ মে ২০২৩ ১৭:৪৮
চলতি বছরে প্রথমবারের মতো সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে বৈশ্বিক খাদ্যমূল্যের সূচক বেড়েছে। চিনি, মাংস ও চালের দরবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সার্বিক সূচকে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চের তুলনায় এপ্রিলে খাদ্যমূল্য সূচক বেড়েছে ১২৭.২ পয়েন্ট। আন্তর্জাতিক খাদ্যপণ্য মূল্যের বেঞ্চমার্ক সূচক গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে বেড়েছে দশমিক ৬ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের একই মাসের চেয়ে খাদ্যপন্যের সূচক এ বছরের এপ্রিলে ১৯.৭ শতাংশ কম এবং ২০২১ সালের এপ্রিলের তুলনায় ৫.২ শতাংশ বেশি।
এফএও চিনির মূল্য সূচক মার্চ থেকে এপ্রিলে ১৭.৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০১১ সালের অক্টোবরের পর এবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী চিনি উৎপাদন না হওয়ায় দরে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া ব্রাজিলে আখ ফসল কাটার মৌসুমে দেরী হওয়ার কারণেও চিনির দর বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের কারণে আখ-ভিত্তিক ইথানলের চাহিদা বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে এফএও।
এফএও’র মাংসের মূল্য সূচক এপ্রিলে ১.৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে শূকরের মাংসের উচ্চমূল্য এবং পরে হাঁস-মুরগির দাম মাংস সূচকে প্রভাব ফেলেছে। এশিয়ার আমদানি চাহিদা এবং পশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মাংস উৎপাদন বাধার মুখে পড়ায়ও দাম বেড়েছে। মাংসের জন্য গবাদি পশুর সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।
তবে চাল ছাড়া অন্যান্য প্রধান খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে। এফএও’র দানাদার খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক মার্চ থেকে এপ্রিলে ১.৭ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলের চেয়ে চলতি এপ্রিলে দাম কমেছে ১৯.৮ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া রফতানি বাড়ানোর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম এপ্রিলে কমেছে ২.৩ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকায় ভুট্টার উৎপাদন বাড়ায় বিশ্বব্যাপী দাম ৩.২ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে উচ্চ উৎপাদন খরচ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হওয়া এবং এশীয় ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ায় চালের দাম বেড়েছে।
উদ্ভিজ্জ ভোজ্যতেলের মূল্য সূচক এপ্রিলে ১.৩ শতাংশ কমেছে। টানা পাঁচ মাস ধরে ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক কমছে। এপ্রিলে এফএও’র দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য সূচক ১.৭ শতাংশ কমেছে।
সারাবাংলা/আইই