উৎপাদন-সরবরাহ বেশি, দেশজুড়ে ইয়াবার ভয়ংকর বিস্তার
৫ মে ২০২৩ ১৯:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পরও দেশজুড়ে নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবার প্রবাহ বাড়ছে। ইয়াবার স্রোত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। কেন ইয়াবার এই বিস্তার?- সেটা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তার গবেষণায় উঠে এসেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দেশের ৬৪ জেলায় ইয়াবার নিম্নমুখী দাম এবং সহজলভ্যতার চিত্রও উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ইয়াবার দাম সবচেয়ে কম। এর কারণ হচ্ছে- রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকাতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে ইয়াবার উৎপাদনে সুরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত গোষ্ঠীও ইয়াবার উৎপাদন ও বিপণনে জড়িয়ে পড়েছে। উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশে ইয়াবা কম দামে সহজলভ্য হয়ে গেছে।
তিন বছর ধরে ইয়াবার উৎস, সরবরাহ, গন্তব্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণার পর সম্প্রতি এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খোন্দকার। মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা কয়েকজন ইয়াবাসেবী, কক্সবাজারের টেকনাফের কয়েকজন ব্যবসায়ী, দেশের ৬৪ জেলায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়ের তথ্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তিনি এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তিনি।
জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির খোন্দকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। এর পর সেখানে কয়েক দফা সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বড়ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে খুবই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সেখানে। আমি তথ্য পেয়েছি, সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগে ইয়াবা উৎপাদনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও এখন তারা ছাড় দিচ্ছে। তারা কোনো অভিযান পরিচালনা করছে না, রাজনৈতিক বিরোধ সামলাতেই তারা ব্যস্ত। এর সুযোগ নিচ্ছে ইয়াবার উৎপাদানকারীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিগত সংঘাতে জড়িত দলগুলো অর্থ সংগ্রহের জন্যও ইয়াবা উৎপাদন করে বিপণন করছে। দুই বছরের ব্যবধানে মিয়ানমারে ইয়াবার উৎপাদন কয়েক’শ গুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় বলা যায়, দেশটিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়াবার উৎপাদন বেড়েছে। এমনকি এই মাদকটির দামও কমেছে। বাংলাদেশের টেকনাফের একেবারে সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিত্তে শহরে একটি ইয়াবার উৎপাদন খরচ পড়ছে ৫০০ মিয়ানমার কিয়াত, যা বাংলাদেশের ২৪-২৫ টাকার সমান।’
‘সেজন্য দেখা যায়, টেকনাফে ৩০-৪০ টাকায়ও ইয়াবা পাওয়া যাচ্ছে। শুধু সীমান্তটা পার করে দেওয়া, এখানে তো আর কোনো খরচ নেই। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাত্র ২৫ টাকায়ও এক পিস ইয়াবা পাওয়া যায়’- বলেন হুমায়ুন কবির খোন্দকার।
দেশে প্রকৃত মাদকাসক্ত কত?- এ নিয়ে সঠিক কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০১৮ সালের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মতে- রাজধানীসহ সারাদেশে কমপক্ষে ৭৩ লাখ মাদকাসক্ত নারী-পুরুষ আছে।
‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ মে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, এই অভিযানে শুধু কক্সবাজারেই নিহত হন ২৯৯ জন। আত্মসমর্পণের সুযোগ পান ১২৩ জন ‘মাদক কারবারি’। তবে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে এসে এই অভিযান মুখ থুবড়ে পড়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে দেশের সব সংস্থা মিলে ইয়াবা উদ্ধার করে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮১ হাজার ১৭টি। ২০২১ সালে উদ্ধারের পরিমাণ ৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৫টি। ২০২২ সালে উদ্ধার করা হয় ৪ কোটি ৩৭ লাখ ইয়াবা। ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব সংস্থা মিলে গত পাঁচ বছরে ২১ কোটি ৬৬ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, ইয়াবার সঙ্গে কম দামে এখন নিষিদ্ধ ক্রিস্টাল মেথ বা আইসও মিলছে। তবে বর্তমানে অনেক বেশি পরিমাণে ইয়াবা সীমান্ত দিয়ে ঢুকে নানা রুট দিয়ে নানা কৌশলে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। যা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চোরাচালানের মাধ্যমে আসা মাদকের মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ জব্দ করতে পারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
২০২২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খোন্দকারের ক্রিস্টাল মেথের বাজার নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, মিয়ানমার থেকে আসা প্রতি কেজি ক্রিস্টাল মেথের দাম টেকনাফে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা ও কক্সবাজার শহরে সাত থেকে আট লাখ টাকা।
কিন্তু একই কর্মকর্তার সর্বশেষ প্রতিবদনে উঠে এসেছে, কক্সবাজারে এখন প্রতিকেজি ক্রিস্টাল মেথ মিলছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকায়। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতি গ্রামের দাম সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
তবে দেশে নিষিদ্ধ মাদক হিসেবে ইয়াবার বাজার এখনও সবচেয়ে বড়। ক্রিস্টাল মেথ উচ্চবিত্তদের ঘরে পৌঁছলেও ইয়াবা ছড়িয়ে গেছে দেশের ৬৪ জেলায়, সব মহানগরে। এর মধ্যে মিয়ানমার, এমনকি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়াবা যেমন সহজলভ্য, তেমনি দামেও কম- এমনটাই বলছেন মাদক নিয়ন্ত্রণে জড়িত কর্মকর্তারা।
হুমায়ুন কবির খোন্দকারের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা প্রবেশের মূল রুট কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় ইয়াবা কিনে আনছে। তারা ৩০ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরে সেগুলো টেকনাফ থেকে বিক্রি করছে। আর টেকনাফে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। এছাড়া কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায় ৭০ থেকে ১০০ টাকায় প্রতি পিস ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে।
তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ইয়াবাসেবীরা প্রতি পিস পাচ্ছে ৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায়। এরপরেই ঢাকা বিভাগ। ঢাকাসহ আশপাশের ১২ জেলায় ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় ইয়াবা পাওয়া যাচ্ছে।
যশোর-সাতক্ষীরাসহ ভারতের সীমান্তবর্তী আশপাশের জেলায় ১২০ থেকে ২৫০ টাকায় ইয়াবা মিলছে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা, সিলেটে ১২০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে ইয়াবা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বরিশালের বিভিন্ন জেলায় দাম সামান্য বেশি মিলেছে গবেষণায়। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুরে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ইয়াবার দাম ওঠানামা করছে গত দুই বছরে।
পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় সারাবাংলা প্রতিবেদকের সঙ্গে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জন মাদক বিক্রেতার কথা হয়। তিন জনই কক্সবাজার থেকে ইয়াবা কেনেন পাইকারি দামে, এরপর কখনও নিজেরাই বহন করে নিয়ে যান চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়, আবার কখনও বাহকের মাধ্যমে।
গ্রেফতার হওয়া এক ইয়াবা বিক্রেতা পেশায় ট্রাকচালক। ট্রাকে কক্সবাজারে পণ্য নিয়ে যান, ফেরার পথে ইয়াবা কিনে নিয়ে আসেন এবং খুচরা বাজারে বিক্রি করেন। তিনি জানান, ২০২০ সালে তিনি চট্টগ্রাম ও ফেনীতে প্রতি পিস ইয়াবা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় কিনতেন। আর তা ৭০০-৮০০ টাকা এমনকি হাজার টাকায়ও বিক্রি করতেন। গ্রেফতারের আগে কক্সবাজার থেকে তিনি ১০০ টাকার কমে ইয়াবা সংগ্রহ করেছেন এবং চট্টগ্রাম শহরে এনে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে ইয়াবার দাম নিয়ে একেকজন একেক ধরনের মত দেন। কেউ ৩০০ বলেন, কেউ আবার ৫০০ বলেন। আমি দেখলাম, দাম আসলে এত বেশি নয়। বাস্তবে মিয়ানমারের পর আমাদের দেশে দাম সবচেয়ে কম। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, এমনকি ভারত থেকেও আমাদের দেশে ইয়াবার দাম অনেক কম। কক্সবাজারে তো এখন ৩০, ৪০, ৫০ টাকায় ইয়াবা পাওয়া যাচ্ছে। দাম কমে যাবার কারণে লাখে লাখে ইয়াবা দেশে আসছে এবং সেটা একেবারে সহজলভ্য হয়ে গেছে।’
ইয়াবার বিস্তার ও প্রতিরোধের কৌশল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি যখন আইজিপির দায়িত্বে ছিলাম, তখন মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। তখন ক্ষমতায় ছিলেন অং সান সুকি। উনাকে আমরা বলেছিলাম, ইয়াবার উৎপাদনটা বন্ধ করার বিষয়ে। তিনি আমাদের বলেছিলেন যে, মিয়ানমারের তরুণরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং উনারাও উদ্বিগ্ন। পরবর্তী সময়ে তো সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসল। সেনাবাহিনী নিজেই তো প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িত।’
‘সুতরাং উৎপাদনটা যদি বন্ধ করতে হয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। দুই দেশের সরকারকে ঐক্যমত্যে আসতে হবে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় একসময় ফেনসিডিল উৎপাদন হতো। দুই দেশের সরকার কথা বলে সেটা বন্ধ করেছে। ভারত সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল কারখানাগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ইয়াবার ক্ষেত্রেও উৎপাদন, সরবরাহ এবং চাহিদা বন্ধ করতে হবে। না হলে শুধু পুলিশের পক্ষে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। ইয়াবার লাখ, লাখ চালান আসছে, এত সোর্স পুলিশ পাবে কোত্থেকে’- বলেন সাবেক আইজিপি।
মিয়ানমারে কর্মরত বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল আলম চৌধুরী ইয়াবার বিস্তার বন্ধে দুই দেশের সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পক্ষেও মত দিয়েছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর শান এলাকায় ইয়াবার মূল উৎপাদনটা হয়। সেখানে দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণও সীমিত। বিভিন্ন দেশের বিলিওয়ানরসহ অনেক রাঘব বোয়াল এই ইয়াবা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং এখানে দুই দেশের সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সংকট যেটা হচ্ছে, সাপ্লাইটা সহজ হয়ে গেছে। ফলে ডিমান্ডটা বেড়ে গেছে। আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এখন আমাদের ওপর বোঝা হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে হতাশা আছে, টাকার দরকার আছে। তারা যেহেতু পথঘাট সব চিনে-জানে, ইয়াবাটা তারা সহজে নিয়ে আসতে পারছে অথবা আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।’
সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, ‘সাপ্লাই যেহেতু এভেইলেবল, সেহেতু ডিমান্ড স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। বাংলাদেশ এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে পারে। এর বেশি বাংলাদেশের একার পক্ষে কিছু করার নেই।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম