Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যানবাহনের ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক মোটরযানে রূপান্তরিত হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২৩ ১৩:০৭

ফাইল ছবি

ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহ্নত যানবাহনের নূন্যতম ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক মোটরযান ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হবে।

বুধবার (১০ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘সাব-রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্যা ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

দুইদিন ব্যাপী এ কর্মশালায় অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হবে কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। সারা পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব এই অ্যামবিশনের জন্য নাম্বার ওয়ান রেসপনসিবল হচ্ছে চায়না, আমেরিকা এন্ড ইন্ডিয়া। বড় বড় দেশগুলোই আজকে বেশি কার্বন নিঃসরণের ব্যাপারে দায়ী। কিন্তু আমরা ছোট ছোট দেশগুলো সাফার করছি। এখন এই হচ্ছে বিশ্বের অবস্থা।’

কর্মশালায় অনেকে আগ্রহী হয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য। সবাইকে আজকে একযোগে ভাবতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এ্যাকশনে যেতে হবে শুধু বড় বড় কথা মুখে বললে হবে না।

আজকে আমরা এখানে কার্বন নিঃসরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রটোকল বাংলাদেশ পরিবহন খাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ শর্তহীনভাবে হ্রাস করার অঙ্গীকার করেছি।’

এ প্রেক্ষাপটে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহ্নত যানবাহনের নূন্যতম ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক মোটরযান ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ২০১৮ (১২৪ ধারা) মোতাবেক সড়ক পরিবহন আইন; ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৩ আমরা অলরেডি প্রণয়ন করেছি। এ বছর নভেম্বর মাসে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটির বিআরটিসির বহরে ১০০টি বৈদ্যুতিক ডাবল ডেকার এয়ারকন্ডিশন বাস যুক্ত হবে। যার মধ্যে ঢাকা সিটি ৮০টি এবং ২০টি বাস চট্টগ্রামে চলবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ডিভিশন এবং জেলাগুলোর হেড কোয়ার্টারে এই ইলেকট্রিক বাস আমদানি করার প্রক্রিয়ায় আছি। এতে আজকের সেমিনারের যে উদ্দেশ্য, সে লক্ষ্য পূরণে কিছুটা হলেও আমরা এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারলাম।’

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে রোড সেফটি প্রোগ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অর্থায়নে এগিয়ে এসেছেন। যা পরিবহন খাতের ডিসিপ্লিনের জন্য অপরিহার্য বলেও মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

কর্মশালায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিদুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের কোঅপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন, ইউনিসক্যাপের পরিবহন বিভাগের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগীয় প্রকৌশলী মাদান বি রেগমি।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

ওবায়দুল কাদের

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর