Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২৩ ১৯:২৯

ঢাকা: দুই দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক থেকে বাজেটে ঋণ সহায়তা বাবদ ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।

বুধবার (১০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এর আগে সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঋণদাতা সংস্থাগুলো থেকে ঋণ চেয়েছিলাম। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের একটি কিস্তি আমাদের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও কয়েকটি সংস্থা থেকে আমরা ঋণ সহায়তা পাবে। আশা করছি, এসব সহায়তা এলে আগামী জুনের মধ্যে আমাদের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।’

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এতে আগের সাত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওই বছরের শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালের ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলার। এর পর ২০২১ সালের ৩ মে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারে এবং ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ।

যেভাবে রিজার্ভ সৃষ্টি হয়

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদান, বিদেশি বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত ডলারে রিজার্ভ তৈরি হয়। অন্যদিকে, সরকারি ও বেসরকারি আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভ।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

৩০ বিলিয়ন টপ নিউজ রিজার্ভ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর