আসছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি
১০ মে ২০২৩ ২১:৪৭
ঢাকা: আসছে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এবারের এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) নতুন এডিপিটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে তুলবে পরিকল্পনা কমিশন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
সূত্র জানায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের এক লাখ ৪৯ হাজার ১৬ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯২ হাজার ২০ কোটি টাকা ধরা হয়। তবে সম্প্রতি আকার কাটছাট করে সংশোধিত এডিপি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের প্রস্তাবিত বরাদ্দ হলো- বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া শিক্ষায় ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলীতে ২৭ হাজার ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যে ১৬ হাজার ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা এবং কৃষিতে ১০ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যান্য খাতের মধ্যে সাধারণ সরকারি সেবায় দুই হাজার ১১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, প্রতিরক্ষায় এক হাজার ১০ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় তিন হাজার ৪৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় পাঁচ হাজার ৩৬২ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ খাতে আট হাজার ৯৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে দুই হাজার ২৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে পাঁচ হাজার ৩২১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে তিন হাজার ৩১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার এডিপি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এডিপি করার সময় বর্তমান অবস্থাকে বিচেনায় নেওয়া হয়েছে। এখানে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। যেসব এলাকায় পিছিয়ে আছে সেগুলোতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে স্বায়স্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এটিসহ হিসাব করলে এডিপির আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প থাকছে এক হাজার ২১৮টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ১১৮টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৭৮টি এবং সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই প্রকল্প রয়েছে ২২টি।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম