Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ মে ২০২৩ ১৭:১১

ঢাকা: ধনী দেশগুলোকে সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে বড় আকারের তহবিল গঠন করে অনুন্নত দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা শীর্ষক’ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন একটা অবস্থানে রয়েছে, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় একটি প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশকে খরা, বন্যা ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয় এবং এর প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্যখাতে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার চালু করার পর থেকে আমরা মোট বাজেটের বিরাট একটি অংশ স্বাস্থ্যখাতে দিয়ে থাকি; যাতে শুধু চিকিৎসা নয়, এ সংশ্লিষ্ট সব সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে পৌঁছায়। বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া থেকে শুরু করে মাতৃত্বকালীন সেবা, মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা ইত্যাদি আমরা করে থাকি। প্রতিবারই বাজেটের একটা বড় অংশ আমরা স্বাস্থ্যখাতে দিই।’

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ কেনায় যে ট্যাক্স লাগত, তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুদের যেসব প্রয়োজন, সেগুলো ট্যাক্সমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে যাতে আরও উন্নতমানের হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ গড়ে ওঠে, সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এত উন্নত হয়েছে।’

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন তৈরির কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্যাস্ট্রোলিভার, বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা কিডনি, নিউরো, ক্যানসার–এ রকম একটার পর একটা বিষয়ভিত্তিক ইনস্টিটিউট আমরা গড়ে তুলছি। প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সেইসঙ্গে সরকারি যেসব হাসপাতাল রয়েছে, সেগুলোর সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে জিডিপিতে আমরা ২ শতাংশ ধরলেও টাকার অঙ্কে কিন্তু অনেক বেশি সহযোগিতা দিয়ে থাকি।’

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে যেখানে দারিদ্র্য ছিল ৪১ শতাংশ, এখন তা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এক্সট্রিম পভার্টি যেটা ছিল ২৫ শতাংশের ওপরে, সেটা এখন মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সেটাও থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যাতে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয়।’

বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। বর্তমান সরকার পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা শুধু চিকিৎসা বা ওষুধ খাওয়ানো নয়–সেই সঙ্গে তার খাদ্য, পুষ্টি নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সার্বিক যে শিক্ষা দেওয়া, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে সরকার। এটা ভুললে চলবে না যে, ছোট একটা ভূখণ্ড, যার বিশাল জনগোষ্ঠী, তাকে সামাল দেওয়া কষ্ট হলেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

টপ নিউজ স্বাস্থ্যসেবা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ই-ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৪

সম্পর্কিত খবর