ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র সৈকতে পর্যটক নামতে নিষেধাজ্ঞা
১২ মে ২০২৩ ১৭:৪২
কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পরিস্থিতিতে উপকূল এলাকায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ পরিস্থিতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পানিতে পর্যটকসহ সবাইকে নামতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টার পর থেকে সৈকতে ঘোরাফেরা করা পর্যটকসহ কাউকেই পানিতে নামতে দিচ্ছেন না সৈকতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী আবদুস সালাম জানিয়েছেন, ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর থেকে প্রশাসনের নিদের্শনা অনুযায়ী কাউকে পানিতে নামতে দেওয়া হচ্ছে। সাগর স্বাভাবিক পরিস্থিতির চেয়ে ক্রমাগত উত্তাল হতে শুরু করেছে। তা আরও বাড়তে পারে। সার্বিক নিরাপত্তা সৈকতে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তাদের সঙ্গে বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এরই মধ্যে কক্সবাজার উপকূলে নোঙর করা হয়েছে ৪ হাজারের বেশি ট্রলার। বাকি আরও দেড় হাজার ট্রলার ফেরার পথে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশে কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি, আবার কখনও রোদের খেলা চলছে। শুক্রবার বেলা ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৩ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মাঝারি মানের বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকাকালীন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণ।
‘মোখা’ হচ্ছে না সুপার সাইক্লোন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হয়েছে। এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) হবে। এর পরের স্টেজ হলো সুপার সাইক্লোন। মোখার সেই স্টেজে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মোখা ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টা উত্তর দিকে আরও অগ্রসর হবে ঝড়। দুপুরে আরও শক্তি সঞ্চয় করে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে মোখা।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার এগোনোর গতি এখন খুবই ধীর। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে এর গতি ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার ছিল। আজ সকালে সেটি সাতে নেমে এসেছে।
সারাবাংলা/একে