Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়ে ‘খুনের’ আসামিরা খালাস, কাঁদলেন মা


৮ মে ২০১৮ ১৭:৫৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মেয়ে সুপর্ণা শীলকে শ্বশুরবাড়িতে হত্যার অভিযোগ এনে বিচারের জন্য গত ছয় বছর ধরে ঘুরছিলেন মা রমা শীল। অবশেষে রায় হয়েছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে সব আসামিই খালাস পেয়ে গেছেন।

রায় ঘোষণার পর আসামিদের সাজা না হওয়ার হতাশা থেকে রমা শীল আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার অভিযোগ, তিনি মেয়ে ‘হত্যার’ বিচার পাননি।

সোমবার (০৮ মে) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রোখসানা পারভীন এই রায় দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা যায়নি। কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সুপর্ণাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও ছিল না। সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে আসামিরা খালাস পেয়েছেন।

আসামিরা হলেন, সুপর্ণার স্বামী কৃঞ্চপদ শীল, দেবর পলাশ শীল, শ্বাশুরি রেনুবালা শীল এবং ভাসুর সুনীল কান্তি শীল। এদের মধ্যে কৃঞ্চপদ হাজতে ছিলেন। বাকি আসামিরা জামিনে ছিলেন।

২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের শীলপাড়ার গৃহবধু সুপর্ণা শীল মারা যান। মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়িতে তাকে পুড়িয়ে শেষকৃত্য করা হয়। কিন্তু তার মা রমা শীল বাদি হয়ে ২০১২ সালের ৬ জানুয়ারি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, যৌতুকের জন্য গলাটিপে সুপর্ণাকে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাহ করা হয়।

এ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন। আদালতে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলা খারিজে আসামি পক্ষের আবেদন উচ্চ অাদালতে খারিজ হওয়ায় পর ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সুপর্ণা পটিয়া উপজেলার মৌলভীর হাট এলাকার যোগেশ শীলের মেয়ে।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর