কামারখন্দে শোবার ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ
১৪ মে ২০২৩ ২০:০৭
সিরাজগঞ্জ: জেলার কামারখন্দ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে স্বামী।
শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চৌবাড়ী গ্রামের সবের মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১) এবং তার স্ত্রী বেলকুচি উপজেলার তামাই কুঠিপাড়া গ্রামের নুরু শেখের মেয়ে নূরী খাতুন (১৯)।
স্থানীয়রা জানান, রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালাতো শফিকুল। এর আগেও দুটি বিয়ে করে দুই স্ত্রীকেই তালাক দেন শফিকুল। নূরী ছিলো শফিকুলের তৃতীয় স্ত্রী। তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিল।
শফিকুলের বাবা সবের মোল্লা জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকেও যখন শফিকুল ও নূরী ঘুম থেকে উঠছিল না তখন দরজায় গিয়ে পরিবারের লোকজন ডাকতে থাকে। কিন্তু ঘর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় জানালা কেটে দেখা যায় শফিকুল ঘরের ধর্নার সঙ্গে ঝুঁলছে আর তার বউ নূরী মেঝেতে পড়ে আছে। তখন ঘরের দরজা ভেঙ্গে শফিকুলের মরদেহ নিচে নামানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
গৃহবধূ নূরীর মা ফরিদা বেগম জানান, ১৩ মাস আগে প্রস্তাবের মাধ্যমে শফিকুলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে পরিবার থেকে মেয়ে ও জামাই আলাদা হয়ে যায়। কয়েক দিন আগে শ্বশুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ায় মেয়ে ও জামাই আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে তাদের অনেক বোঝানোর পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি চলে যায়। নূরীর মায়ের দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, কলহের জেরে শফিকুল তার স্ত্রী নূরীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/পিটিএম