রান অফের দিকে গড়াচ্ছে কামাল-এরদোগানের লড়াই
১৫ মে ২০২৩ ০২:৪৮
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম টিআরটি অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৪৯.৭৬ শতাংশে ভোটে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৪.৪৯ শতাংশ ভোট। তবে ভোট যত গণনা হচ্ছে ততোই ব্যবধান কমিয়ে আনছেন কামাল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচন গড়াবে রান অফ বা দ্বিতীয় ধাপে। এরদোগানের ভোট ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। শতভাগ ভোট গণনা শেষে এরদোগান বা কামাল কেউই ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে আগামী ২৮ মে দুইজনকে নিয়ে হবে রান অফ ভোট।
তুরস্কের বিরোধীদলীয় প্রার্থী কামাল কিলিকদারোগ্লু অবশ্য নির্বাচনের ফলাফল আসার শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিক গণনায় এরদোগানকে উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে এগিয়ে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ভোট যত গণনা হবে এরদোগানের লিড ততোই কমে আসবে। দেশটির গণমাধ্যমে আসা নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, দৃশ্যত তাই হয়েছে।
এরদোগানের ভোট ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ার পরপর অবশ্য এ খবর টুইট করে জানিয়েছেন কামাল। এতে তিনি বলেন, ‘কল্পকাহিনী ৬০ শতাংশ থেকে শুরু হয়েছিল। এখন তা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ব্যালট পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন বোর্ডের কর্মকর্তারা কখনই আপনাদের জায়গা ছেড়ে যাবেন না। আমরা আজ ঘুমাবো না।’
তুরস্কের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম টিআরটির ইলেকশন পুলে দেখানো হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগান-কামাল ছাড়া অন্য দুই প্রার্থী মোহাররেম ও সিনান সব মিলিয়ে পেয়েছেন প্রায় ৬ শতাংশ ভোট। মোহাররেম ইনচে নির্বাচনের একদিন আগে সরে দাঁড়ালেও ব্যালট পেপারে তার নাম রয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ড (ওয়াইএসকে) জানিয়েছে, নির্বাচনে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার ছিলেন। তবে এর মধ্যে ৩০ লাখের মতো ভোটার দেশের বাইরে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে ৮০.৩০ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
তুরস্কে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগান। আরও এক দফা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিরোধীদল ন্যাশনস অ্যালায়েন্সের কামাল কিলিকদারোগ্লু এবং আতা অ্যালায়েন্সের সিনান ওগান। সম্ভাব্য রান অফে কামাল কিলিকদারোগ্লু এবং সিনান ওগানের ভোট এক হলে প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন কামাল।
সারাবাংলা/আইই