Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মসলিন শাড়ি জনগণের হাতে পৌঁছাতে হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২৩ ১৬:২৮

ঢাকা: ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন শাড়ি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে তা জনগণের হাতে পৌঁছানোর তাগিদ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। মন্ত্রী বলেন, ‘এ কাজটি করতে পারলে মসলিন সংক্রান্ত গবেষণা সম্পূর্ণ সফল হবে।’

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধার এবং এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘একসময় সারাবিশ্বে ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল। বিভিন্ন কারণে ১৭০ বছর আগেই গৌরবময় মসলিন হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে প্রকল্প হাতে নিয়ে মসলিনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অতি আনন্দের খবর।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মসলিন শাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও শ্রমসাধ্য। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয়। পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারিমানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। তবেই এ গবেষণা সম্পূর্ণ সফলতা পাবে। এতে মামনীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক খুশি হবেন।’

বিজ্ঞাপন

গোলাম দস্তগীর গাজী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা হয়েছে। ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সুতা তৈরির জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতিদের মাঝে এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করেছি।”

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, “মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে এ প্রকল্পটি ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২১’ লাভ করেছে। এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আমাদের এ অর্জন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের সক্রিয় উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলার সোনালি ঐতিহ্য ঢাকাই মসলিন ফের বিশ্বে আলোড়ন জাগাতে সক্ষম হবে।’

আলোচনা সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ এর সভাপত্বিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসজে/একে

গোলাম দস্তগীর গাজী টপ নিউজ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মসলিন শাড়ি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর