হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালালেন স্বামী ও শ্বশুর
১৬ মে ২০২৩ ১৮:৪৩
রাজশাহী: রাজশাহীতে গভীর রাতে হাসপাতালে গৃহবধূরর মরদেহ ফেলে পালিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে মৃত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গতকাল সোমবার (১৫ মে) দিনগত রাত দুইটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) এই ঘটনা ঘটে। কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম মাহজুবা খাতুন আঁখি (২৩)। তিনি নগরীর হাড়ুপুর এলাকার এরশাদ আলীর মেয়ে।
মামলা থেকে জানা গেছে, তিন বছর আগে কাশিয়াডাঙ্গা হাড়ুপুরের এরশাদ আলীর মেয়ে আঁখির বিয়ে হয় কাশিয়াডাঙ্গা কাঠালবাড়িয়ার সজিবরের ছেলে আতিকুল ইসলাম টনির সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে টনি ও বাবা-মা আঁখিকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। গতকাল সোমবার রাতে পলি বেগম নামের এক প্রতিবেশী আঁখির বাবা এরশাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেন আঁখি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে আরশাদ দেখেন, তার মেয়ে মরদেহ হাসপাতালের ট্রলির ওপর পড়ে রয়েছে। গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় রেখে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পারেন।
নিহত আঁখির বাবা আরশাদ আলী বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে তার স্বামী টনি, তার শাশুড়ি রাশিদা, শ্বশুর সজিবর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।’
এ বিষয় নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ। এ জন্য আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে এজাহার নেওয়া হয়েছে। নিহত আঁখির বাবা ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সারাবাংলা/এনএস