সংস্কার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর এটিম মাঠ
২১ মে ২০২৩ ১৭:৩৩
নওগাঁ: নওগাঁ শহরের ঐতিহ্যবাহী মাঠ হচ্ছে এটিম মাঠ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত মাঠটি অবশেষে মাটি দিয়ে ভরাট করে খেলাধুলার উপযুক্ত করা হচ্ছে। ১৯৭০ সালে ২৪ অক্টোবর শনিবার বঙ্গবন্ধু এই এটিম মাঠে নৌকার প্রচারণার এসে এক বিশাল জনসভায় ভাষB দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রথমবার সরকার গঠনের পর নওগাঁয় এসে এই মাঠেই আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই মাঠেই জনসভা করেছেন।
এতদিন মাঠটি বছরের বেশি সময় ধরে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকত। তবুও শহরে খেলার মাঠের স্বল্পতার কারণে ও বড় আকারের মাঠ হওয়ায় এই মাঠেই ওই দুরবস্থার মধ্যে চলছিল নানা খেলাধুলা।
এই মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করতে এবার এগিয়ে এসেছেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান ও অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও নওগাঁ চেম্বারের অর্থায়নে এরইমধ্যে মাঠটিতে মাটি ফেলে ভরাট করার কাজ এগিয়ে চলছে। ক্রীড়ামোদীরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েয়েছেন।
নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, খেলাধুলার নিয়মিত চর্চা ছাড়া একটি সুস্থ্য ও মেধাবী জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের যে মাঠগুলো দীর্ঘদিন যাবত মেরামত কিংবা সংস্কারের অভাবে অবহেলায় পরিত্যক্ত পড়ে আছে সেই মাঠগুলো পর্যায়ক্রমে খেলাধুলার উপযোগী করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শহরের ঐতিহ্যবাহী এটিম মাঠটিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আমি আশাবাদী মাঠটিকে আধুনিকায়ন করা হলে নিয়মিত খেলাধুলা চর্চার হারিয়ে যাওয়া পরিবেশটি আবার ফিরে আসবে।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, দিন দিন খেলার মাঠগুলো হারিয়ে যাওয়ার কারণে যুব সমাজ ও আগামীর প্রজন্মরা মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে সমাজে যুবকদের দ্বারা নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে এবং নানা অপরাধের জন্ম নিচ্ছে। এই ক্ষতিকর দিক থেকে সমাজ, দেশ ও দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে নিয়মিত খেলাধুলার চর্চার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘একসময় নওগাঁর খেলোয়াড়রা দেশ এবং দেশের বাইরে রাজত্ব করেছে। কিন্তু দিন দিন খেলাধুলার নিয়মিত চর্চা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন কমে যাওয়ার কারণে এখন খেলাধুলায় নওগাঁ অনেক পিছিয়ে পড়েছে। নওগাঁর সেই সুনাম ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ এরইমধ্যে দীর্ঘদিন পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর নিয়মিত খেলাধুলা চর্চার জন্য উন্মুক্ত মাঠের প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনের তাগাদা থেকেই শহরের ঐতিহ্যবাহী মাঠটিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আমি আশাবাদী, সবার সার্বিক সহযোগিতা পেলে খেলার জগতে নওগাঁর যে দাপট ছিল সেই হারিয়ে যাওয়া দাপট ফিরে আনতে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা সফল হবে।’
সারাবাংলা/একে