১৩৩ কেন্দ্র: আজমত ৫৮০২৫, জায়েদা পেয়েছেন ৬৮৮০০ ভোট
২৫ মে ২০২৩ ২২:৪৬
ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মোট ৪৮০ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বেসকারিভাবে ১৩৩ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। ওই ১৩৩ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান মোট ভোট পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৫টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০০ টি। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩২৫ ভোট।
১৩৩ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ১০ হাজার ৭৭৫ ভোট বেশি পেয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান।
ভোটদান শেষে তিনি বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।’
সকাল ১০টার পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। ওই সময় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ ভালো, সুষ্ঠু ভোট হলে ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে গাজীপুর সিটির ভোট সিসিটিভিতে মনিটরিং করে দুজনকে আটকের নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা সবাই বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচনে যে ফলই আসুক না কেন তারা সবাই মেনে নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন— নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ।
এছাড়াও স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এছাড়াও ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
সারাবাংলা/একে