Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামিনে থাকা শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার: ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৩ ২২:১৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে গ্রেফতারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ জুন স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জামিনে থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই লিখিতভাবে এই আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে গ্রেফতারে পুলিশ সদস্যের আচরণ বা প্রক্রিয়া আইনের পরিপন্থী। একই সঙ্গে তা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনারও পরিপন্থী। এটা আইনের মিমাংসিত বিষয় যে, প্রাসঙ্গিক আইন অনুসরণ না করে নাগরিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। উল্লেখ্য, একজন পুলিশ অফিসারকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আগে প্রথমে তাকে আইনি বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়।এখানে, আসামি ফৌজদারি বিভিন্ন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন। আইনজীবী উচ্চ আদালতের জামিনের বিষয়ে আসামিকে সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। উল্লিখিত মামলায়, মনে হচ্ছে এএসআই মিজানুর রহমান আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের গাইডলাইন এবং আইনকে অবহেলা করেছেন। যার ফলে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

আদালত আরও বলেন, আমরা মনে করি, পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমান এ বিষয়ে কারণ ব্যাখ্যা করবেন।

গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জামিন নেওয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা।

এরপর আজ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন আদালত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে আটক করে আদালতের পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আসামির বাড়ি থেকে আটকের পর শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশকে হাইকোর্টের জামিনের কপি দেখালে তা আমলে নেয়নি বলে দাবি আসামির পরিবারের।

পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তা দিতে না পারায় পুলিশি ক্ষমতার বলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। যদিও হাইকোর্টের জামিননামা দেখে শুক্রবার দুপুরে আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন। আশ্রাফুল হাওলাদার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বাজারঘোনা গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদারে ছেলে। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর