Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ ৪২ হাজার কোটি টাকা


১ জুন ২০২৩ ১৭:১৩

ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রস্তাব পেশ করেন। স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরির সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আসছে অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং পাঠ্যক্রমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্য যুগোপযোগী বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আধুনিক ও মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

২০০৯ সাল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৩৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭১টি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এসইএসডিপির আওতায় ৩৩টি মডেল মাদরাসা ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে ৬২টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরের কাছাকাছি এলাকায় ৯টি, রংপুরে ২টি, রাজশাহীতে ২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ, সিলেট ও জয়পুরহাট জেলায় ১টি করে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাজ হাতে নিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা ও পাঠদান পদ্ধতিকে আধুনিক করার স্বার্থে নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ২০০৯ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ২৮৫টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ১১ হাজার ৩০৭টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও প্রায় ৬৪ হাজার ৯২৫টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ১২ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে। ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ৬টি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের ই-লার্নিং মডিউল এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির ৬টি পাঠ্যপুস্তকের ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়াল উন্নয়ন ও আপলোড করা হয়েছে। আইসিটি বিষয়ে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৫ লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

সরকারি কলেজে আইসিটি শিক্ষকের ২৫৫টি পদ সৃষ্টি এবং পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বলেন, মাঠ পর্যায়ের দফতর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিদর্শন কার্যক্রম ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম (DMS) অ্যাপ এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক স্তর ও মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকসমূহে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মানসম্মত শিক্ষাদান ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ লক্ষাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার পাশাপাশি আমাদের সরকার মেধাবী, দরিদ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি প্রদান ও গবেষকদের ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর সেক্টর-৮ এ ৩.৩৩ একর জমিতে একাডেমি স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালীন পুষ্টি, মানসিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য, শারীরিক শিক্ষা ও সেবা প্রদানের জন্য এ সকল প্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরীদের জন্য ‘পুষ্টি ক্লাব’ গড়ে তুলেছি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮৩ লক্ষের বেশি বই সরবরাহ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এসব কাজ এগিয়ে নিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করছি, যা বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা ছিল।’

সারাবাংলা/জেআর/এমও


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর