বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের দাবি
১ জুন ২০২৩ ২০:৩১
রাজশাহী: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ বাস্তবায়ন ও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক নেতারা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডুকেশন কলেজের অধ্যক্ষ ও বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানহীন কলেজের ব্যর্থতার কারণে সারাদেশে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর প্রশিক্ষণের মান নিয়ে জাতীয়ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়। তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যবেক্ষণ টিম সারাদেশের বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোকে পরিদর্শন করে প্রশিক্ষণের মান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের গুণগতমান বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম ৩৮টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে লাল তালিকাভুক্ত করে তা বন্ধের সুপারিশ করে। কিন্তু ৩৮টি কলেজ থেকে ২৩টি কলেজ আদালতে মামলা করার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কলেজকে আর বন্ধ করতে পারেনি। উপরন্ত কলেজগুলোকে প্রতি বছর নবায়ন দিয়ে দিয়ে ছাত্র ভর্তির সুযোগ করে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৮ সালে করা মামলার ইতোমধ্যে ২০১৫ সালে একটি রায়ও বের হয় আদালতের। যাতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ওইসব কলেজ থেকে যারা পাশ করেছে তাদের এমপিও স্কেল দিতে বলা হয়। কিন্তু কলেজগুলোর বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে আদালত কোনো প্রকার পর্যবেক্ষণ না দিলেও কলেজগুলোর মালিক পক্ষ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে মাধ্যমে প্রচার করে বেড়ায় যে, তাদের ২৩টি কলেজ ছাড়া অন্য কলেজ থেকে বিএড করলে তাদের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ আদালতের রায়ে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত আরও প্রায় ৭০টি কলেজ বিদ্যমান থাকা অবস্থায় তাদের এমন দাবি নিঃসন্দেহে অবাস্তব, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং যা আদালত অবমাননার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে। ক্ষেত্রবিশেষ বিএড স্কেল প্রত্যাশীদের আবেদনগুলো সেই লাল তালিকাভুক্ত ২৩টি কলেজের অন্তর্ভুক্ত নয় বলে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানসম্পন্ন কলেজ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসের এরূপ অনৈতিক আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, অধ্যক্ষ রাহাতুল আবকা, অধ্যক্ষ রুবীনা আক্তার বানু, আরজুমান্দ বানু, রওশন আরা রশীদ, নন্দা রানী ঘোস, ফরহা খান, স্বপন কুমার সাহা, সিনথিয়া হোসেন, আসাদুল কবির, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহিনা খাতুন, হাবিবুর রহমান, মহিউদ্দিন।
সারাবাংলা/এনএস