রূপগঞ্জে হোটেলে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু
১ জুন ২০২৩ ২৩:৩৭
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল হোসেন (৪৫) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিল্লাল হোসেন প্রিন্স রেস্তোরাঁর বাবুর্চি ছিলেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ওই ব্যক্তির পেটের বাম পাশে গুলি লাগে।’
বিল্লালের মামা শহিদুল ইসলাম বাবুর্চি জানান, বিল্লালের বাড়ি বরিশালের মুলাদি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আকিজুদ্দিন হাওলাদার। বর্তমানে স্ত্রী সহ রুপগঞ্জের আইরাবো এলাকায় থাকতেন।
শহিদুল আরো জানান, ঘটনার দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। অস্ত্রোপচার করে তার কোমর থেকে গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে বলা হয়। সে জন্য তাকে শ্যামলির একটি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রুপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রিন্স হোটলের মালিক মো. নাদিম সাউদ ঘটনার দিন জানান, ওইদিন বিকেলে হোটেলের ভিতরে রান্নাঘরে কাজ করছিলেন বিল্লাল। তখন বেশ কয়েকজন যুবক দৌড়ে হোটেলের ভেতর ঢুকে খেতে বসা এক যুবককে মারধর শুরু করে। তখন ওই যুবক তাদের হাত থেকে বাঁচতে বাবুর্চিখানার ভেতরে ঢুকে পড়ে। হামলাকারীরাও সেখানে ঢুকে। এক পর্যায়ে তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হয় বাবুর্চি বিল্লাল।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানিয়েছেন, বিল্লালের স্ত্রী সাজেদা বেগম ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার এজাহারনামীয় ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ২ জন হলেন বরপা এলাকার মামুন (২৩) ও একই এলাকার অপু সাউদ (৩০)।
সারাবাংলা/একে