গেন্ডারিয়ায় পুকুর ভরাট: হাইকোর্টে ১১ জনের বিরুদ্ধে রিট
৪ জুন ২০২৩ ১৬:১০
ঢাকা: গেন্ডারিয়ায় পুকুর ভরাটের অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে পরিবেশ অধিদফতর, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সিইও, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমানসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) সকালে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়। মনজিল মোরসেদের সংগঠন HRPB-এর পক্ষে রিট পিটিশন করেন অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহমদ চৌধুরী।
রিট আবেদনে পুকুরটির ভরাট বন্ধ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা এবং ভরাটকৃত স্থাপনা অপসারণের দির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে দুজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং বিবাদীদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) মাটি ফেলে পুকুরটি ভরাট ও পুকুরের স্থানে পুকুরটি রক্ষার দাবিতে শুক্রবার এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলেও তা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৩ জুন) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট বিএনসিএ জানায়, পরিবেশ আইন-১৯৯৫, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০, পানি আইন-২০১৩, ভূমি ব্যবহার আইন ও ড্যাপ ২০১৬-৩৫ সহ অনেকগুলো আইনে সুস্পষ্ঠভাবে বলা আছে পৌর, মহানগরী, জেলা ও বিভাগীয় শহরে মালিকানা যারই হোক না কেন প্রাকৃতিক জলাধার কোনোভাবেই ভরাট করা যাবে না। অথচ এতগুলো আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পুকুরটির দখল প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি রাজউক, পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো পক্ষকে। এটি চরমভাবে হতাশাজনক এবং সন্দেহজনক। বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই পুকুরটির বেদখলকৃত ভূমি উদ্ধারে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহলে সরকারি এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আদালতে যাবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
অধিগ্রহণসূত্রে এই পুকুরের মালিক ছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কেন, কীভাবে পুকুরটির মালিকানা বেহাত হল, এর দায় কার সেটি দ্রুত বের করা, পুকুর রক্ষায় স্থানীয়দের মানববন্ধন করতে না দেওয়ার কারণ উদঘাটন এবং দ্রুত এই পুকুরটিকে তার পূর্বের পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।
সারাবাংলা/আরএফ/একে