Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যাদের চা খাওয়ার পয়সা ছিল না তারা এখন ব্যাংক মালিক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২৩ ১৫:৪৫

অনুষ্ঠানের ছবি

ঢাকা: সাবেক চিফ হুইফ ও বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যাদের চা চা খাওয়ার পয়সা ছিলো না তারা এখন ব্যাংকের মালিক। তারাই কেবিনেট-মন্ত্রীদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।

শুক্রবার ( ৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আয়োজিত প্রতিকী কর্মসূচী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, দলটির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, সাবেক যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, রফিকুল আলম মনজু, শেখ রবিউল আলমসহ সকল জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিকী কর্মসূচীর আয়োজন করেন জিয়া নাগরিক সংসদ।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে যাদের চা খাওয়ার পয়সা ছিলো না তারা এখন ব্যাংকের মালিক। যারা চিনির কেজি ১৫০ টাকা করে, আদার কেজি ৪০০ টাকা করে। যারা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ায়, অথচ তারা মানুষকে বিদ্যৎ দিতে পারে না। তারাই এক সময় বলে বিদ্যুৎ ঝুড়িতে বিক্রয় হয়। তারাই কেবিনেট-মন্ত্রীদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।’

আইনমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দেন বা না দেন, এটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু গতকাল আপনি বলেছেন, আর গ্রেফতার করব না। গ্রেফতার করতে নিষেধ করব। আর মামলাও দেব না। তাহলে অতীতে মামলা দিয়েছেন, মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। অথবা আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৫২ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা কারণে মামলা দিয়ে জর্জরিত করেছেন। বিএনপির এই ৫২ লাখ নেতাকর্মী যদি জেলে যায় প্রেসক্লাব থেকে বলছি- আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। সংসদ আপনাকে ভাঙতেই হবে। আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশে সংকট তৈরি করেছেন। এই সংকট আপনাদের সমাধান করতে হবে। যদি সমাধান না হয়, তাহলে আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে বাধ্য হব।’ এসময় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং তারেক ও জোবায়দা রহমানের মামলা প্রত্যাহার করাসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনারা আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করতে চান। আপনাদের এই টালবাহানা এক মিনিটের জন্য সহ্য করা হবে না। দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। পরে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। ক্ষমতা ছাড়ার পরেও আলোচনা হবে।’

প্রতিকী কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন— জিয়া নাগরিক সংসদের সভাপতি অ্যাড মো. মাইন উদ্দীন মজুমদার, জিয়া নাগরিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক (শহিদুল), আলমগীর, হারুন ও শাইনসহ আরও অনেকে।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর