Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলাবদ্ধতা ৭০ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে: মেয়র তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুন ২০২৩ ১৬:০৪

ঢাকা: সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে ডিএসসিসি এলাকার জলাবদ্ধতা ৭০ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১৪জুন) সকালে রাজধানীর বংশাল এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত সামসাবাদ খেলার মাঠ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ২০২০ সালেও একটু বৃষ্টি হলেই শহর প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হত বন্যা হয়ে গেছে। সেখান থেকে আমরা জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় খাল ও নর্দমা সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর গৃহীত কার্যক্রমের ফলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের বড় দুশ্চিন্তা অবশ্যই জলমগ্নতা এবং জলাবদ্ধতা। তবে আমরা যখন ২০২০ সালে দায়িত্ব নেই তখন খাল, নর্দমাগুলো আমাদের দায়িত্বে ছিল না। তখন অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেত, প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হতো যেন বন্যা হয়ে গেছে।

মেয়র বলেন, আমরা যখন সোচ্চার হয়েছি, তখন প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর নেতৃত্বে খাল এবং নর্দমাগুলো আমাদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। এরপর আমরা ১৩৬টা স্থান নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। যার ফলে জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নেমে এসেছে। কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন জায়গা ছাড়া এখন আর জলমগ্নতা নেই।

জলাবদ্ধতা ও জলমগ্নতা নিরসনে চলমান কাজগুলো শেষ হলে আগামী মৌসুমে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ডিএসসিসিমেয়র বলেন, আমাদএকটি উন্নত রাজধানী, উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষে কাজ করছি। যেখানে ওয়ার্ডভিত্তিক পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, উদ্যান, উন্মুক্ত জায়গা ও পর্যাপ্ত সবুজায়ন থাকবে। সেই লক্ষে আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।

এদিন মেয়র সামসাবাদ খেলার মাঠের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) সংলগ্ন জায়গায় একটি পলাশ গাছের চারা রোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর