দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে: শেখ হাসিনা
১৫ জুন ২০২৩ ২৩:৩১
ঢাকা: ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে একটি সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেনেভায় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের নতুন অর্থনীতি এবং সমাজ’ শীর্ষক আলাপচারিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ থেকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায়, দীর্ঘদিন দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে, মাথা পিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে, যা ২০০৬ সালে ৫৪৩ ছিল, দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪১ শতাংশ থেকে প্রায় ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল তারা জনগণের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি।’
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রাম করে আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি।’
দেশের ৫০ লাখ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে গৃহ প্রদান করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ফলে স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে। তবে সরকার এ চাপ কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
সারাবাংলা/এনআর/একে