বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকারীরা রাজপথে নামলে প্রতিরোধের ঘোষণা
১৮ জুন ২০২৩ ২৩:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরকারীরা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতারা।
রোববার (১৮ জুন) বিকেলে নগরীর জামালখানে প্রেসক্লাব চত্বরে ‘চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে জাতির পিতার ম্যুরাল ভাংচুর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসম্বলিত দেয়ালচিত্র ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী, আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখলে স্বাধীনতা বিরোধীদের গায়ে জ্বালা ধরে। তারা দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায়।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই, আমরা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সৈনিক। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর নির্দেশে আমরা মাঠে নেমেছি। আপনারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। ভাংচুরকারীদের গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতা না করে উল্টো সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছেন। ভাংচুরকারীদের নিয়ে যদি আপনারা আবার রাজপথে নামেন, চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা মিলে আপনাদের প্রতিরোধ করা হবে।’
নাগরিক কমিটির সংগঠক ওসমান গণি আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তারেক, ইলিয়াস উদ্দীন, সাহেদুল আলম, শওকত আলম, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, বেসরকারি কারা পরিদর্শক ইয়াছিন আরাফাত কচি, শাহিন জোবায়ের বাপ্পী, খোরশেদ আলম মানিক, মাহমুদুর রশীদ বাবু, মাহমুদুল্লাহ বাবু, আশফাক হোসেন খান, সজিব মির্জা, সৈয়দ আনিসুর রহমান, সুলতান মাহমুদ ফয়সাল, তরিকুল ইসলাম তানিম, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, তন্ময় দাস, আবু সাইদ মুন্না বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে জামালখান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা চেরাগি পাহাড় পর্যন্ত যান।
গত ১৪ জুন নগরীর কাজীর দেউড়ির মোড়ে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ডাকা ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যাবার পথে জামালখানে ছাত্রদল-যুবদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ অন্তত ৫০টি চিত্রকর্ম ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম