Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের পরে ‘বড় ধাক্কায়’ সরকারের পতন হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২৩ ২০:১৭

ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঈদুল আজহার পরে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের জোয়ার বইয়ে দিয়ে তিন মাসের মধ্যে সরকার পতন অনিবার্য করে তুলবেন। ঈদের পরে সরকার পতনের জন্য বড় ধাক্কা দেওয়া হবে। গণজাগরণ ও গণআন্দোলন শুরু হবে। ওই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশ, জনগণকে রক্ষায় সরকারকে বিদায় করে ছাড়ব। এ ছাড়া নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে চলমান সংকট, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেন।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সংকট, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানাতে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুসহ আরও অনেকে।

আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘গণআন্দোলনের যত রূপ আছে, সব প্রয়োগ করা হবে। এ সরকারকে যেতে হবে। এ লড়াই গরিব মানুষকে বাঁচানোর লড়াই, এ লড়াই স্বাধীনতা,ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচানোর লড়াই। এ লড়াই মানবাধিকারের লড়াই৷ এ লড়াই জিততে হবে।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এ সরকারের চলে যাওয়ার কথা বললে তারা বাহানা খোঁজে, তারা সংবিধান দেখায়। তারা যদি বলে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে, তবে আমরা পথ দেখাব কী করে ক্ষমতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে মুক্তির পথে চলতে হয়।’

সাইফুল হক বলেন, ‘এ সরকারের অবস্থা এখন বিরাট বটবৃক্ষের মতো, যার কোনো শিকড় নেই। বড় ধাক্কা দিলে তারা ভেঙে পড়তে পারে।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনো বলছি, সোজা পথে হাঁটেন। নিরাপদ পথে সরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ দিন, সংকট সমাধানের পথে কী করবেন তা বলুন। নতুবা ঈদের পরে গণজাগরণ, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশ, জনগণকে রক্ষায় সরকারকে বিদায় করে ছাড়ব।’

বিজ্ঞাপন

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের নামে দেশের টাকা লুটপাট করেছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে লাখ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে৷ তার দায়ভার এখন মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতি ঢাকতে সরকার তার লুটের ভাগ দিচ্ছে।’

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচি করবে।’

সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করতে যায়। তারা পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে নূর হোসেন স্কয়ারে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। সেখানে ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগোতো চাইলে পুলিশের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি হয়।

মিছিলে বাধার প্রসঙ্গে পুলিশের নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ বলেন, ‘সচিবালয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে হুট করেই কেউ মিছিল নিয়ে আসতে পারে না বা এর সামনে কেউ সমাবেশ করতে পারে না। তাই গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল নিয়ে এখানে আসার সুযোগ নেই। এ জন্যই মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতন

বিজ্ঞাপন

মেগা নিলাম শেষে কোন দল কেমন হলো?
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১১

আরো

সম্পর্কিত খবর