গরুর মাংস আমদানি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২০ জুন ২০২৩ ১৩:২৩
ঢাকা: গরুর মাংসকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে গরু এবং জবাই করা গরুর মাংস আমদানি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি (রিট পিটিশন নং: ৮১৩০/২০২৩) দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংস বাংলাদেশর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস ইতোমধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
রিটে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানি যোগ্য পণ্য। অপরদিকে ‘দি ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২ এর ধারা-১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য। কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে জীবন্ত গরু এবং গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে, দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে গরুর মাংসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণও গরুর মাংস কিনতে পারছে না। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর ফলে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ ও মৌলিক অধিকার ৩১/৩২ লঙ্ঘন হচ্ছে। এসব কারণে রিট আবেদন করেছি। রিট মামলাটি শিগগিরই হাইকোর্টে যেকোনো একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও