Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ‘খুন করে’ লক্ষ্মীপুরে তড়িঘড়ি লাশ দাফন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২৩ ১৪:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর নয়দিন পর লক্ষ্মীপুর থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গ্রেফতার করা হয় গৃহবধূর স্বামীকে। পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়ে ওই ব্যক্তি তড়িঘড়ি করে লক্ষ্মীপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করেন। গৃহবধূর বাবার কাছ থেকে গুমের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ একইসঙ্গে লাশ এবং ওই ব্যক্তির সন্ধানে অভিযানে নামেন।

সোমবার (১৯ জুন) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাদিরখীল গ্রাম থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসাইন।

মৃত আসমা আক্তার (২৬) তার স্বামী কাজী সাহেদুজ্জামান রিমনের (৩৫) সঙ্গে নগরীর পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকার বাসায় থাকতেন। তাদের ৯ বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর ও ১০ মাস বয়েসী দুইটি মেয়ে আছে। আসমা’র বাবার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়।

ওসি আফতাব সারাবাংলাকে জানান, গত ১২ জুন মৃত আসমার বাবা আলম পতেঙ্গা থানায় গিয়ে তার মেয়েকে খুন করে জামাতা লাশ গুম করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি পুলিশকে জানান, ১০ বছর আগে রিমনের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। গত ১০ জুন বিকেলে রিমন তাকে ফোন করে আসমা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। রিমনের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তিনি টেকনাফ থেকে পতেঙ্গার বাসায় আসেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি রিমনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

প্রতিবেশিদের বরাত দিয়ে আলম আরও জানান, ১০ জুন সকালে আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতিবেশিরা জানতে পারেন। তারা আসমার গলায় দাগ এবং কাথা মোড়নো লাশ দেখতে পান। রিমন একজন ডাক্তার নিয়ে বাসায় গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু লাশ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, কোথায় দাফন হবে, এ বিষয়ে রিমন তাদের কিছুই জানায়নি।

আলমের অভিযোগ ও তথ্য তদন্তে নেমে পুলিশ গত ১৪ জুন রিমনকে নগরীর ইপিজেড থানার কাজীগলি থেকে আটক করে। তার পতেঙ্গার বাসা থেকে একটি লোহার বটিসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে রিমনকে চারদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ওসি আফতাব বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রিমন স্বীকার করে, পারিবারিক কলহের জের ধরে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে খুন করে লক্ষ্মীপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছে। এরপর গ্রেফতার এড়াতে পতেঙ্গার বাসায় না গিয়ে ইপিজেড এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর