ডিজিটাল লেনদেন ২ পশুর বাজারে, টার্গেট ৫০ কোটি টাকা
২০ জুন ২০২৩ ১৯:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির পশুর দুই বাজারে কেনাবেচায় এবার নগদবিহীন ডিজিটাল লেনদেন চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হলো- সাগরিকা এবং নূরনগর হাউজিং এস্টেট এলাকায় কর্ণফুলী পশুর বাজার। দুই বাজারে ব্যাংক কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেনের টার্গেট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়ির সেনাকল্যাণ সংস্থা কনভেনশন হলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আগে অনেক গরুর বেপারি সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। অনেক ক্রেতা গরু কেনার টাকা হারিয়েছেন। এখন ডিজিটাল লেনদেনের কারণে আর এই ঝুঁকি থাকবে না। মানুষকে নগদ টাকা ও নকল টাকা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে না। হাটগুলোতে স্থায়ী এটিএম বুথ বসানোর কাজে সহায়তা করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরইমধ্যে খামারিদের ব্যাংক হিসেব খোলা হয়েছে। যাদের ব্যাংক হিসেব নেই, তারাও হাটে এসে ব্যাংক হিসেব খুলতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, পেশার প্রত্যয়নপত্র, ছবি, মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি দিয়ে তাৎক্ষণিক এই ব্যাংক হিসেব খোলা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদা বলেন, ‘পশুর হাট যতদিন চলবে ততদিন বুথ থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। ব্যাংকাররা সহযোগিতার জন্য পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। যে কোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিজিল্যান্স টিম থাকবে। সবাইকে জাল টাকা পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়া উল হক বলেন, ‘গরু কেনা-বেচায় নগদ টাকার লেনদেন না থাকায় নিরাপত্তার ঝুঁকিও থাকবে না, জাল টাকা রোধ করা যাবে এবং এই খাতে কী পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়, তার একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা যাবে। ডিজিটাল লেনদেনের কারণে একজন খামারি আগে যেখানে একবার গরু এনে বিক্রি করতে পারতেন, এখন নগদ টাকার লেনদেন না হওয়ায় কয়েকবার গরু হাটে এনে বিক্রি করতে পারবেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০টি হাট মিলিয়ে ১৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেনের টার্গেট রয়েছে। চট্টগ্রামে ৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেন কঠিন হবে না। যে গরুর খামারি হাটে আসবে তাদের তালিকা করে হিসাব খুলে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যদি কারও হিসাব না থাকে তাহলে বুথ থাকবে। নির্দিষ্ট হাটে কার্ড দিয়ে পশু কিনতে পারবে। জাল টাকার ঝুঁকি থাকবে না। খামারিরা প্রতারিত হবেন না। আশা করি, পরের বছর চট্টগ্রাম শহরের সব পশুর হাট স্মার্ট হাটে রূপান্তর হবে।’
মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপ পরিচালক ডা. মো. আশরাফুল আলম খান, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ও ইউসিবিএলের কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে