বজ্রপাত রোধে বাগেরহাটে ১ লাখ তাল গাছ রোপণের ঘোষণা
২২ জুন ২০২৩ ১৭:৫৮
বাগেরহাট: বজ্রপাত বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক মহা আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে মৃত্যুহার বেড়েছে লক্ষ্যণীয়ভাবে। বজ্রপাত থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। সরকার এই বিষয়ে কাজ করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে বাগেরহাটে ১ লাখ তাল গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফকিরহাট উপজেলার বেতাগায় তালের চারা রোপন করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন কালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ এ কথা বলেন ।
বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ আরো বলেন, ‘তালগাছ প্রকৃতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছ অন্য কোনো গাছের ক্ষতি করে না। প্রকৃতিতে তালগাছ বৃদ্ধি পেলে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বজ্রপাত থেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখবে এ সব তালগাছ। এতদিন এই বজ্রপাত ছিল গ্রাম, হাওর বা বিল এলাকায়, এখন শহর এলাকায়ও দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বজ্রপাতজনিত ক্ষয়ক্ষতি রোধে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বজ্রপাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ এবং পরিবেশবিদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তালের চারা রোপণের এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, এডিসি জেনারেল হাফিজ আল আছাদ, ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদাল, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস প্রমুখ ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ২৫ দফা নির্দেশনার মধ্যে তালগাছ রোপণের কথা আছে। এ কারণে বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় এক লাখ তালের চারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বোতাগায় তালের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হলো। আগামী এক মাসের মধ্যে এক লাখ তালের চারা রোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এসব চারা পরিচর্যা ও দেখভালের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের এই চারার দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে ঠিকাদারের মাধ্যমে গাছের চারা ক্রয় ও রোপণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারাই দুই বছর ধরে এসব চারা দেখভাল করবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো চারা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তারা পুনরায় চারা রোপণ করে দেবেন।’
সারাবাংলা/একে