বরিশালে পশুর হাটে ক্রেতা কম, চাহিদা বেশি ছোট-মাঝারি গরুর
২৪ জুন ২০২৩ ১৭:২৫
বরিশাল: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। তাই বরিশালে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। গরুর দাম গতবারের চেয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণ বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা হচ্ছে না। তবে গতবছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গরুর দাম শোনার পর ক্রেতাদের বেশির ভাগই দর্শকে পরিণত হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এমন বাস্তবতায় বিপাকে পড়েছেন হাট ইজারাদাররাও।
বেশিরভাগ ক্রেতা ছোট ও মাঝারি আকারের গরুই খুঁজছেন। চাহিদা বেশি থাকায় তাই হাটেও বড় গরুর তুলনায় ছোট-মাঝারি গরুর দামই বেশি। এবারে গৃহস্থ পশু আসছে কম। যারাই হাটে গরু নিয়ে আসছে তারা ব্যাপারী। অনেকটা এ কারণে কেউ দাম ছাড়ছে না বলে বেচাকেনার অবস্থা খারাপ।
বরিশালে এবারে মোট ৬৩টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এবার খামারিদের কাছেও প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার গরু। আলম ডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকে গরু আসছে এসব হাটে।
এদিকে কোরবানির পশুর হাটে কোনোভাবেই রাস্তায় বসতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ। কোরবানির হাট যেন কোনোভাবেই বিড়ম্বনার কারণ না হয়ে এজন্য কঠোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) সরেজমিনে কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গতবার যে সাইজের গরুর দাম নেওয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এবারে তেমনই গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। সাধারণ সাইজের যে গরু গত বছরও ৬৫-৭০ হাজার টাকায় মিলেছে, এবার তার দাম ৯০-৯৫ হাজার টাকা। আর তাই হাটে অসংখ্য গরু আসা সত্ত্বেও বেচাকেনা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এবারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বাজারে বেশি। তাই এই দুই ধরনের গরুর দামই বাড়তি।
ক্রেতারা জানান, হাটে অনেক গরু, তবে দাম অনেক বেশি। পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে নানা অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে কোরবানির গরুর দাম।
বিক্রেতারা জানান, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। গরু লালন-পালনে খরচ বেশি হচ্ছে। পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। ন্যায্য দাম না পেলে আমাদের লোকসান হবে। তবে গরুর দাম একটু বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক বা সড়কে কোনোভাবেই হাট বসতে দেওয়া হবে না। এছাড়া জাল টাকা ও প্রতারণা দমনে কঠোর থাকবে পুলিশ।