Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিখোঁজের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর বস্তাবন্দি জীবিত শিশু উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২৩ ২২:৫১

ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় নিখোঁজের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর বস্তাবন্দি অবস্থায় আড়াই বছরের শিশু হুমায়রাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলের পেছনের গলিতে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর সে বন্দি ছিল। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজিজুল ইসলাম ও জোসনা বেগম দম্পতির মেয়ে হুমায়রা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। বাবা আজিজুল সবজি বিক্রেতা। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামে।

হাসপাতালে শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, সকালে তাদের এক ভাতিজি হুমায়রাকে কোলে করে রাখে। সাড়ে ১০টার দিকে সে শিশুটিকে তাদের ভাড়া বাড়ির সিঁড়িতে রেখে যায় এবং বলে হেঁটে ২য় তলায় উঠতে। এর পাঁচ মিনিট পর শিশুটির মা জোসনা বেগম রান্নাঘর থেকে বের হয়ে তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পান না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় মাইকিং করে নিখোঁজের সন্ধান চাওয়া হয়।

ওই এলাকার ‘ইডনাইট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের’ শিক্ষক জয়নাল আবেদিন তুহিন জানান, বেলা আড়াইটার দিকে এক পথশিশু স্কুলের পেছনের গলিতে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে ঢুকলে সে একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায়। তখন সেটি খুলে ভেতর ওই শিশুকে দেখে। পরে আশে পাশের লোকজনকে ডাকলে সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, বস্তার ভেতরে অচেতন অবস্থায় মেয়ে শিশুটি পড়ে আছে। তার গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো। তারা ধারণা করেন, শিশুটি হয়তো মারা গেছে। কিছুক্ষণ পর তার বাবা-মা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শিশুটির অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলামের অভিযোগ, তাদের বাড়ির পাশেই শাহিনা নামে এক নারী আছে। প্রায় সময় তার সঙ্গে আজিজুলের পরিবারের ঝগড়া হতো। এর আগে, অন্য দুই শিশুকে দুই দিন শরীরে ছ্যাঁকা দেয়। এটি নিয়ে শাহিনার সঙ্গে তাদের ব্যাপক ঝগড়া হয়। পরিবারটির সন্দেহ, সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই শাহিনা শিশু হুমায়রাকে হত্যা করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে চিপা গলিতে রেখে আসতে পারে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক এসএম তাওহিদ বিল্লাহ জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বুঝা যাচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা যেকোনো সময় খারাপ দিকে যেতে পারে।

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

নিখোঁজ শিশু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর