ঢাকা: দেশের জনগণকে মুল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। যা বাজেট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। এবারের বাজেটে মূল দর্শন হচ্ছে- ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। তাই আমরা বাজেটে প্রতিটি খাতে, প্রতিটি কম্পনেন্টে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
রোববার (২৫ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদর বাজেট অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছিল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুষ্পষ্ট দিকনির্দেশনায় আমরা দেশের জনগণকে মুল্যস্ফীতির ছাপ থেকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করেছি। বিভিন্ন ভাতার হার বাড়িয়েছি। দেশের সাড়ে চার কোটি মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে আনতে পেরেছি। প্রায় এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমুল্যে আমরা খাদ্য বিতরণ করে যাচ্ছি।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থনীতির কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের বাংলাদেশকে মাত্র ১৪ বছরে ৬০তম অবস্থান থেকে ৩৫তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন এবং এর মধ্য দিয়ে তিনি সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহৎ ২০টি অর্থনীতির দেশের তালিকায় অর্থভুক্ত হয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহস ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সব চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করে সকলের সহযোগিতায় দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করব। আর এর মধ্য দিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আরও একধাপ এগিয়ে যাব।’