স্বাস্থ্য-শিক্ষা-সামাজিক সুরক্ষায় ৫৫ চ্যালেঞ্জ— আসছে অ্যাকশন প্ল্যান
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১০ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৪১
ঢাকা: স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা— প্রধান এই তিন খাতের অগ্রগতিতে ৫৫টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে শিক্ষা খাতে ১৩টি, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১৭টি ও স্বাস্থ্য খাতে চ্যালেঞ্জ পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ২৫টি। এরই মধ্যে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আলাদা আলাদাভাবে খাতওয়ারি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিও হয়েছে। সমন্বিতভাবে এই অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে আগামী ডিসেম্বরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে এসব খাতের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো খাতভিত্তিক অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করেছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে। এর বাইরে আইসিটি, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতের জন্যও অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে। কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বর মাসে এসব অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে।’
স্বাস্থ্য খাতে ২৫ চ্যালেঞ্জ, কী থাকছে অ্যাকশন প্ল্যানে
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য খাতে ২৫ ধরনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ খাতের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে— নতুন রোগের আবির্ভাব, অসংক্রামক ও সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্ট গবেষণার অভাব, তদারকি কার্যক্রমে জনবলের ঘাটতি, রেফারেল ব্যবস্থা, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জরুরি ওষুধ সরবরাহ ও পরিমিত ব্যবহার, স্বাস্থ্য খাতের ডিজিটাইজেশন, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনসংখ্যান ধরণ ও জীবনযাপন রীতির পরিবর্তন, বয়স্ক জনগোষ্ঠী বেড়ে যাওয়া, তামাক ও মাদকের অপব্যবহার এবং স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতির আর্থিক ফলাফলের ওপর হালনাগাদ উপাত্তের ঘাটতি।
এই খাতের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে— দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক দুযোর্গ ও জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, অ্যাম্বুলেন্সের সীমাবদ্ধতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি, বেসরকারি চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সম্পর্কিত সুনিদিষ্ট নীতিমালা না থাকা, জনবলের চাহিদা নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি, চাহিদার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা, শিশু মৃত্যু, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা।
আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য-শিক্ষার আধুনিকায়ন ও গুণগত মান উন্নয়ন, জরুরি সেবা সরবরাহ বাড়ানো, অসুস্থতার পেছনে ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর জন্য সরকারি কেন্দ্রগুলোকে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মতো বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কথা বিবেচনায় রেখে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে আব্দুর রউফ বলেন কোভিড-১৯, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু, নিপাহ ভাইরাসের মতো নতুন ভাইরাসের বা পুরনো ভাইরাসের নতুন করে আবির্ভাবের কথা। অ্যাকশন প্ল্যান এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যেন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন রোগ বা পুরনো রোগের নতুন করে আবির্ভাসের পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়।
আব্দুর রউফ বলেন, দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রোগ নজরদারির ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সাড়াদান ও ল্যাবরেটরি সক্ষমতাকে যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি ও সম্পদের সুষম বণ্টনের পাশাপাশি মহামারির পূর্বাভাস দেওয়া ও প্রাথমিক পর্যায়ে তা শনাক্ত করার মতো সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া মহামারির জন্য সতর্কতা জারি ও মহামারি শনাক্ত হলে তার প্রভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখতে হবে। সব দিক চিন্তা করেই অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য খাতের অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়ায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে— বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হাসপাতালগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বর্জ্যের পরিশোধন, পুনর্প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী কৌশলের প্রয়োগ করতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা, জবাবদিহিতা, সমন্বয় ও অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা দরকার। হাসপাতাল ও বহির্বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, বাজেট, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সংক্রমণ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
ওষুধ সরবরাহ ও ওষুধের পরিমিত ব্যবহার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কম খরচে ওষুধ উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করতে হলে দেশে কাঁচামাল উৎপাদনের বিকল্প নেই। অথচ ওষুধ উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কোম্পানিগুলো কাঁচামালের জন্য অনেকটাই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ফলে দেশের ওষুধ শিল্পের বড় সমস্যা কাঁচামালের অপ্রতুলতা। এদিকে ওষুদের পরিমিত ও যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ওষুদের ব্যবহার-মাত্রা সম্পর্কে রোগী-স্বজনদের জ্ঞানের অভাব, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অপরিমিত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিকর প্রভাব। এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষা খাতে ১৩ চ্যালেঞ্জের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান
অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়ায় পরিকল্পনা কমিশন শিক্ষা খাতের যে ১৩টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো— প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া, প্রাথমিক থেকেই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া, মাধ্যমিক শিক্ষায় অপেক্ষকৃত কম শিক্ষার্থী ভর্তি, ভর্তির ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের ব্যবধান ও মাদরাসা শিক্ষার মান চাকরির বাজারে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকা।
উচ্চ শিক্ষা ও শিক্ষা গবেষণার বেশকিছু চ্যালেঞ্জও চিহ্নিত করা হয়েছে— শিক্ষক সংকট ও যার ফলে সরকারি কলেজে একই শিক্ষক দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দেওয়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত সন্তোষজনক না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের পদোন্নতির একক নীতিমালা না থাকা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের নিজেদের মালিক মনে করা ও গবেষণার জন্য মানসম্মত ফ্যাকাল্টি না থাকা।
এ ছাড়া উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রচলিত ধ্যান-ধারণা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ভিন্ন এবং কারিগরি শিক্ষায় নারীদের কম অংশগ্রহণ ও চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা তৈরির অভাবকেও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে শিক্ষা খাতের জন্য।
আব্দুর রউফ বলেন, গত তিন অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপরও শিক্ষায় কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। নানা সংকট রয়েছে। সেসব সংকট ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত হওয়ায় এখন সেগুলো সমাধানের জন্যই অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ চলছে।
অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। কিন্তু গুণগত মান অর্জনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা শিক্ষা খাতে যে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে, বাংলাদেশ তা থেকে অনেক দূরে।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে অ্যাকশন প্ল্যানের খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা অবকাঠামো নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই কক্ষ এ কাজে ব্যবহার করা হয়। বাড়ি থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ায় অভিভাবকরা প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের জন্য সন্তানদের স্কুলে দিতে চান না। এ জন্য শিশুদের বাসস্থানের কাছেই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন জরুরি। এ পর্যায়ের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগসহ আলাদা অবকাঠামোই গড়ে তোলা প্রয়োজন।
মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার কম হওয়াকে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষক, বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষকের সংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনায় অভিভাবকদের সম্পৃক্ত না থাকাকেও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের উপায়ই তুলে ধরা হবে চূড়ান্ত অ্যাকশন প্ল্যানে।
সামাজিক সুরক্ষায় ১৭ চ্যালেঞ্জ, অ্যাকশন প্ল্যানে গুরুত্ব যেগুলোয়
সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১৭টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এগুলো হলো— উপকারভোগী নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, অপর্যাপ্ত অনুদান, সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা, বৈষম্য কমানো, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা না থাকা, গর্ভবর্তী নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি বৈষম্য কমানো।
এই খাতের আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে— শহুরে অর্থনীতির প্রসার, ক্রমবর্ধমান বার্ধক্য, খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা, জেন্ডার সমতা, দুঘর্টনাজনিত বিকলাঙ্গ ও তৃতীয় লিঙ্গকে সমাজে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ না করা। সমন্বিত এমআইএস ব্যবস্থা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত পরিকল্পনা নিশ্চিত করা, অনানুষ্ঠানিক শ্রমশক্তি ও গণপরিবহণে নারীবান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থার ঘাটতিকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে উপকারভোগী নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অ্যাকশন প্ল্যানে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সুবিধাভোগীর পরিমাণ দেশের মোট জনসংখ্যার ৩২ থেকে ৩৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ হলো— সুবিধাভোগীর আওতা বিদ্যমান দারিদ্র্যে হারের (প্রায় ২০ শতাংশ) চেয়ে বেশি। এ অবস্থায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ও অর্থ বরাদ্দ এমনভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে, যেন একসময় ভাতাভোগীর শ্রেণিগত অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এটি চ্যালেঞ্জিং কাজ।
অ্যাকশন প্ল্যান বলছে, দুঃস্থ বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীসহ সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীতার শিকার জনগোষ্ঠী ও উচ্চ ঝুঁকিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর প্রতি যথাযথ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। উপকারভোগী নির্বাচনে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চত করতে হবে, যেন প্রকৃত ব্যক্তির বাইরে অন্য কেউ তালিকাভুক্ত না হয় কিংবা এক ব্যক্তি একাধিক ধরনের ভাতা না পান।
প্রকল্প পরিচালক মো.আবদুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, দেশে পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি অন্যতম। প্রান্তিক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) কর্মসূচি রয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান নিশ্চিত করবে, এসব কর্মসূচির আওতায় যেন সুবিধাভোগী হওয়ার উপযোগী সবাই আসতে পারে এবং যোগ্য কেউ এসব কর্মসূচির বাইরে না থাকে।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর
অ্যাকশন প্ল্যান টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিশন শিক্ষা খাত সামাজিক নিরাপত্তা সামাজিক সুরক্ষা স্বাস্থ্য খাত