৫-৬ বছরের ভেতর মামলার জট কমাতে পারবো: প্রধান বিচারপতি
২৬ জুন ২০২৩ ১৬:৫৭
মানিকগঞ্জ: প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার কারণে আমাদের মামলার কার্যক্রমের গতি কমে যায়। ২০২২ সালে এসে এই গতি বেড়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, যদি মামলার গতি বাড়াতে পারি তাহলে আগামী ৫-৬ বছরের ভেতর মামলার জট কমাতে পারবো। যাতে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে মানুষ ন্যায়বিচার পায় তার ব্যবস্থা করবো।’
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন ও ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি যখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেই সেদিনই প্রধানমন্ত্রীকে বলি আমাদের বিচারলায় আছে, অবকাঠামো আছে, বিচারকদের বসার জায়গা আছে, আইনজীবীদের বসার জায়গা আছে। শুধু বসার জায়গা নেই বিচারপ্রার্থীদের। যাদের জন্য এই বিচার ব্যবস্থা তাদের জন্য আদালত প্রাঙ্গনের কোথাও স্বস্তিতে বাসার জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি ৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে দিয়েছেন। অর্থাৎ ৬৪টি জেলায় যদি আমরা ৫০ লাখ করে টাকা দেই, তাহলে প্রত্যেকটা জেলাতেই ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করতে পারবো। যেখানে থাকবে পুরুষ-মহিলাদের জন্য আলাদা করে দুটি টয়লেট, থাকবে ৫০ থেকে ৭০টি চেয়ার, এক কর্ণারে থাকবে একটি ফাস্টফুডের দোকান।’
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আইনজীবীরা যদি আমাদের বিচারকদের সহযোগিতা করেন এবং তাদের যদি অন্য সাপোর্ট আমরা দিতে পারি তাহলে মামলার জট মোকাবিলা করা সহজ হবে। আমাদের অফিসারা অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আশা করছি এর জন্য ম্যাজিক শব্দের দরকার নেই আমাদের পরিশ্রমই যথেষ্ট’, বলেন প্রধান বিচারপতি।
এসময় বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, মানিকগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমও