ডা. সংযুক্তার প্রেসক্রিপশনে ড্রাইভার জমিরের ফোন নম্বর!
২৯ জুন ২০২৩ ২২:৫১
ঢাকা: চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে রোগীর আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি থাকতে পারে চিকিৎসা পরামর্শ ও জরুরি অবস্থায় যোগাযোগের জন্য হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর। তবে সেন্ট্রাল হাসপাতালের আলোচিত চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা সাহার প্রেসক্রিপশনে এগুলোর পাশাপাশি থাকতো তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক জমিরের নম্বর। জরুরি সময়ে সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ভুল তথ্য পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক রোগী। তাই ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ডা. সংযুক্তার প্রেসক্রিপশনে কেনো ড্রাইভার জমিরের ফোন নম্বর?
বিএমডিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী বা এমন কারও নম্বর থাকা দোষের কিছু না। তবে যদি সেই নম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইরের কোনো ব্যক্তি হয়ে কাউকে চিকিৎসা পরামর্শ বা ভুল তথ্য দেন তবে সেটি অবশ্যই অনৈতিক যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
৯ জুন মাহবুবার রহমান আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন এই জমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কুমিল্লার তিতাস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। জমির শুধুমাত্র ইয়াকুব আলীকে ডা. সংযুক্তা সাহা থাকার বিষয়ে নিশ্চিতই করেননি বরং আরেকজন সহকারীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়ে সিরিয়ালও নিয়ে দেন।
জমিরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী ঘটনা জানাতে গিয়ে ইয়াকুব আলী সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরে সেখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন না। হাতেগোনা কয়েকজন নার্স ছিলেন। আর যে চিকিৎসক ছিলেন তিনি আসলেই সার্জারি করতে পারবেন কিনা তেমন কিছু বলেননি। সেই সময়েই সেখানে কয়েকজন স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করতে বলছিলেন। তাদের পরিচিত জায়গায় সিজার করানোর কথা বলছিলেন। কিন্তু আমরা তো ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলাম। তাই অন্য কোথাও কেনো ডেলিভারি করাব? ডা. সংযুক্তা সাহাই তো বলেছিলেন নরমাল ডেলিভারি করাবেন। আর তাই আমার স্ত্রীর অনুরোধে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি।’
ইয়াকুব আলী সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডা. সংযুক্তা সাহাকে তো আর সরাসরি ফোনে পাওয়া যায় না। কিন্তু তিনি প্রেসক্রিপশনে যোগাযোগের উপায় বলে দিয়েছিলেন। সেই হিসেবে আমরা ওনার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জমিরকে ফোন দেই। আমরা তাকে মাহবুবার রহমান আঁখির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও জানাই। একইসঙ্গে তিতাস উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা যা বলেছে তাও জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছু জানানোর পরে জমির আমাদের জানায়, ম্যাডাম ওটিতে আছেন আর তাই তিনি কথা বলতে পারছেন না। আমরা যেন দ্রুত চলে যাই সেন্ট্রাল হাসপাতালে। ম্যাডাম আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে বলেও জানান জমির। আমরা এরপরে আবার ফোন করে ম্যাডামের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাই। তখন জমির আমাকে কনফারেন্সে আরেকজন সহকারীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। এ সময় তারা আমাদের সিরিয়ালও নিয়ে দেন ও বলেন ম্যাডাম থাকবেন-আপনি আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাও আবার জমিরকে বলি যে এরইমধ্যে তিতাসে রাখা হয়েছে আঁখিকে। রওয়ানা দিয়ে ঢাকা আসতে আসতে একটু রাত হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টা ১২টার দিকে পৌঁছালে ম্যাডামকে কী পাওয়া যাবে কিনা তাও জানতে চাই জমিরের কাছে। তখন জমির আমাদের আবার নিশ্চিত করে সংযুক্তা সাহা ম্যাডামকে পাওয়ার বিষয়ে।’
ডা. সংযুক্ত সাহা হাসপাতালে থাকা না থাকার বিষয়ে গাড়িচালক জমির যদি আমাদের আশ্বস্ত না করতেন তাহলে তো এমন পরিস্থিতিতে আমরা সেন্ট্রাল হাসপাতালে যেতাম না- বলেন ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো টাকা খরচ করেই চিকিৎসা করাতে গেছিলাম ডা. সংযুক্তা সাহার কাছে। তার প্রেসক্রিপশনে থাকা জমিরের নম্বরে ফোন দিয়ে ম্যাডাম থাকার বিষয়েও কনফার্ম হয়েছি। এরপরেই আমরা তিতাস থেকে রওয়ানা দেই সেন্ট্রাল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। আর তাই অন্য কারও পরামর্শ না নিয়ে তার কাছেই চিকিৎসা নিতে গেছি। এটি কী আমাদের ভুল?’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেনো অন্য কারো নম্বরে যোগাযোগ করা?- এমন প্রশ্নের উত্তরে পালটা প্রশ্ন করে ইয়াকুব বলেন, ‘আমরা তো আর জানি না জমির হাসপাতালের কেউই না। আবার সে ডাক্তার না এমনটা জানলেও ম্যাডামের বিষয়ে কোনো ভুল তথ্য দিবেন এমনটা বিশ্বাস করারও তো কোনো উপায় ছিল না। যদি তেমনটাই হতো তবে তার নম্বর কেন ডা. সংযুক্তা নিজেই তার প্রেসক্রিপশনে সিল মেরে দিতেন? কে আমাদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন?’
মাহবুবা রহমান আঁখিকে দেওয়া ডা. সংযুক্তা সাহার প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করেন সারাবাংলার এই প্রতিবেদক।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ দেওয়া প্রেসক্রিপশন পর্যালোচনা করে চিকিৎসাসেবার পরামর্শের পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ে লক্ষ করা যায়। সেখানে তিনটি সিল দেওয়া হয়। যার একটিতে লেখা গাইনি ইমার্জেন্সি, রুম নং ৫০৯, সেন্ট্রাল হসপিটাল লিমিটেড।
আরেকটিতে লেখা ডেলিভারি এবং ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ০১৭১৩-০০****। সবার উপরে আরেকটি সিলে লেখা আছে Md. Jomir, 01710****।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে মো. জমির ডা. সংযুক্তা সাহার ব্যক্তিগত গাড়িচালকের নাম।
ইয়াকুব আলী সারাবাংলাকে বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছিল যে কোনো জরুরি অবস্থায় যেনো এসব জায়গাতেই যোগাযোগ করি। আমরা কিন্তু রোগীর অবস্থা জমিরকে জানাই।
শুধুমাত্র ইয়াকুব আলী সুমনের স্ত্রী মাহবুবা রহমান আঁখির প্রেসক্রিপশনেই নয় আরও একাধিক রোগীর প্রেসক্রিপশন জোগাড় করে দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। হাসপাতালের গাইনি ইমার্জেন্সি রুম ও ডেলিভারি সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনে দেওয়া জমিরের নম্বর। রোগীরা জানান, কিছু প্রেসক্রিপশনে দেওয়া হতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্কও।
একজন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে কেন ড্রাইভারের নম্বর দেওয়া?- এমন প্রশ্নের উত্তরে জমিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে মাহবুবা রহমান আঁখি মারা যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। একই বিষয়ে জানতে ডা. সংযুক্তা সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রেসক্রিপশনে রোগীদের সরাসরি আমি আমার নম্বরই দিয়ে থাকি। অন্য কোনো নম্বর সেখানে সিল মেরে দেওয়া হয় না।’
তবে জমিরের নম্বর দেওয়া প্রেসক্রিপশনের কপি প্রতিবেদকে কাছে থাকার বিষয়ে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘আমরা যে সব রোগীর ল্যাপরোস্কপিক সার্জারি করাই তাদের বেলায় দেওয়া হয়।’
কিন্তু মাহবুবা রহমান আঁখির ল্যাপরোস্কপিক সার্জারি করানো হয়নি। আর সেই নম্বরে ফোন দিয়েই ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয় ইয়াকুব আলী সুমনকে। এমন প্রমাণাদিও প্রতিবেদকের কাছে আছে জানানোর পরে ডা. সংযুক্তা সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে।’
একজন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ড্রাইভারের নম্বর সিল মেরে দেওয়া কতটুকু নৈতিক? এমন প্রশ্নের উত্তর ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, ‘এই বিষয়ে আর বেশি কথা বলতে চাইছি না। যেহেতু এই বিষয়ে একটি মামলা চলমান তাই আমার আইনজীবী বলেছেন ওনার পরামর্শ ছাড়া কথা না বলতে। আর তাই আমি আপাতত কোনো কথা বলব না।’
এর আগে, ২৪ জুন নিজের বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. সংযুক্তা সাহা জানান,‘ আমার ড্রাইভার জমিরই আমাকে কুমিল্লা থেকে রোগী আসার বিষয়ে জানান।’
প্রেসক্রিপশনে সিল মেরে দেওয়া জমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা নানা রকম হয়রানির শিকার হয়েছে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা শামীমা ইসলাম নামে একজন রোগী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রেসক্রিপশনেও জমিরের নম্বর সিল মেরে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল যেন জরুরি অবস্থায় আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে আমার লেবার পেইন ওঠার পরে যখন সেই নম্বরে যোগাযোগ করি তখন তিনি একইভাবে আমাদের জানান ডা. সংযুক্তা সাহা আছে। পরে আমরা সেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলেও ডা. সংযুক্তাকে পাইনি। এই বিষয়ে আমরা পরে অভিযোগ জানাতে গেলেও সেটা আর কেউ শোনেনি।’
প্রেসক্রিপশনে রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ড্রাইভারের নম্বর দেওয়া কতটূকু নৈতিক এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আইনশৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য প্রেসক্রিপশনে ব্যক্তিগত সহকারী বা ড্রাইভারের নম্বর থাকাটা একদম যে বিশাল ভুল বিষয়টা কিন্তু তেমন কিছু না। কিন্তু হ্যাঁ, সেই ব্যক্তি যদি চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করা শুরু করে দেন তবে সেটি ভুল। একইসঙ্গে তিনি যদি রোগীকে ভুল কোনো তথ্য দিয়ে থাকেন তবে সেটা অবশ্যই অনৈতিক যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘যদি মাহবুবা রহমান আঁখির স্বামী ইয়াকুবকে প্রেসক্রিপশনে থাকা জমির চিকিৎসক থাকার বিষয়টি ভুলভাবে জানিয়ে থাকে তবে সেটা অবশ্যই অনৈতিক কাজ হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে এমন অবস্থায় রোগীকে সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বলাও অবশ্যই ভুল হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করব। সবকিছুই এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর তাই বেশি মন্তব্য করতে পারছি না।’
এর আগে, ২৩ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে রোগীদের নিয়ে ডা. সংযুক্তা সাহার বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে ডা. এহতেশাম চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘অপারেশন থিয়েটার থেকে লাইভে এসে প্রচারণা সম্পূর্ণ অনৈতিক। ডা. সংযুক্তা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ করেছেন। তিনি সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে আসতে পারেন না।’
চিকিৎসকদের ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো চিকিৎসকই রোগীর কনসার্ন ছাড়া তার ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে সংযুক্তা সাহা যা করেছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক।’
উল্লেখ্য, ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা থেকে আসা মাহবুবা রহমান আঁখিকে। পরবর্তীতে ভুল চিকিৎসা ও সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় নবজাতক শিশুকে হারানোর পাশাপাশি মাহবুবা রহমান আঁখি মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ জানান তার স্বামী। ১০ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে ল্যাব অ্যাইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে।
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ জুন ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ১৮ জুন রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখি।
এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডা. সংযুক্তা সাহা।
সারাবাংলা/এসবি/একে