নুর বিশ্বাসঘাতক, ভয়ংকর লোক: রেজা কিবরিয়া
২ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৭
ঢাকা: গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সদ্য ‘অপসারিত’ নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, নুরু বিশ্বাসঘাতক, সে দেশের জন্য ভয়ংকর লোক। তিনি ইসরাইলের পক্ষে বাংলাদেশে বসে কাজ করছে। গোয়েন্দা সংস্থার উচিত নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, নুরকে গ্রেফতার করে রহস্য উদঘাটন করুন।
রোববার (২ জুলাই) গুলশানে নিজ বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘নুরু সারাদেশের যুব সমাজের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। যুবসমাজ এবং প্রবাসীদের কাছ থেকে দল চালানোর নাম করে টাকা তুলেছের। নুর সেই টাকার হিসাব দিতে চান না। হিসাব চাইলেই ক্ষেপে যায়।’
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সবাই জানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নুর দুবাইয়ে মিটিং করেছেন। দুবাই ও শারজাহ এর মাঝখানে একটি কফি শপে তাদের বৈঠক হয়েছে। গত জুনের ১৮ তারিখে হওয়া মিটিংয়ে আমাদের সামনে এই কথা স্বীকার করেছেন নুরুল হক নুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুরের ভূমিকা সন্দেহজনক। কখন কী করে কেউ বলতে পারছেন না। আমি মনে করি, সরকারের ইন্ধনে নুর অনেক কিছু করেন। তাই তার প্রতি অন্যরকম আচরণ করছে সরকার। তিনি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে পাওয়ার পাঁয়তারা করছেন। সরকারি কিছু লোকের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা করছে এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সে পাঁয়তারা করছেন। আমার জানা মতে সে জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দেখা করেছেন। সে বোধহয় ওদের মতো হতে চান। মন্ত্রী হবে কিছু টাকা-পয়সা কামাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের একজন সিনিয়র নেতা যিনি আমার পাশে বসে আছেন, ওনাকে বলেছেন যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কেমন হয়। সরকার দুই কোটি টাকা দেবে নির্বাচনের জন্য। আর ওকে (নুর) এক কোটি টাকা দেবে।’
কথাটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি পাশে বসে থাকা নেতা মির্জা আফসারিকে দেখিয়ে দেন এবং বলেন উনি এ বিষয়ে বলতে পারবেন। সে (নুর) ওনাকে এ অফারটা দিয়ে বলেছে যে, আপনি রাজি হয়ে যান।’
বিদেশ থেকে আসা টাকার হিসাব জানি না উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সংগঠনের টাকার হিসাব সদস্য সচিব দিচ্ছেন না। তিনি মোসাদের সঙ্গে সভা করেছেন, আলোচনা হয়েছে; যা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। সেখানে তিনি কালো ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন, ব্যাগে কী ছিল তা আমাদের জানা নেই।’
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘নুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে ভোট দরকার তা হয়নি। যার ফলে মিথ্যা স্বাক্ষর দিয়েছে, এটি অপরাধ।’
বিএনপিতে ভাঙনের গুঞ্জন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই বিএনপি একসঙ্গে থাকুক। এটি ভাঙলে আওয়ামী লীগের লাভ। আমি তাদের লাভ চাই না। নুরই তো বিএনপিকে ভাঙার পাঁয়তারা চালিয়েছিল।’
ড. কিবরিয়া বলেন, ‘সরকার একটি পাতানো নির্বাচনে, কিছু লোককে টাকা-পয়সা নিয়ে এমপি হওয়ার লোভ দেখাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় আমাকে তো দলে রাখা যায় না। কারণ আমি তো শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচন, ভোট চোরের নির্বাচনে যাব না। আমার দলকেও এ ধরনের নির্বাচনে যেতে নিষেধ করব।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে