Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:১১

ঢাকা: বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সোমবার (৩ জুলাই) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি হয়েছিল ৫ হাজার ২০৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার। সে হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছে ৩৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। অর্থাৎ, রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

তবে রফতানি আয়ের লক্ষ্য পূরণ হয়নি বিদায়ী অর্থবছরে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। বছরটিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ রফতানি কম হয়েছে।

একক মাস হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া জুনে ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ কম হলেও ২০২২ সালের জুন মাসের চেয়ে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। প্রায় ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ আয় আসে এই খাতটি থেকে। বিদায়ী অর্থবছরেও দেশের তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের অবস্থান বেশ ভালো ছিল। বিদায়ী অর্থবছরে দেশের তৈরি পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। ইপিবির তথ্যমতে, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। অর্থবছরটিতে রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ, এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

২০২১-২২ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরে এই খাত থেকে এসেছে ৪ হাজর ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ, বিদায়ী বছরে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি বেড়েছে ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে নিটওয়্যারের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও ওভেনে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক ছাড়া রফতানি আয়ের অন্যান্য খাত খুব একটা ভালো করতে পারেনি বিদায়ী বছরে। নেতিবাচক রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষিপণ্যসহ হিমায়িত মাছ, রাসায়নিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, স্পেশাল টেক্সটাইল ও কার্পেটে।

২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্যে ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, রাবারে ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, হ্যান্ডিক্রাফটসে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিল্কে ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, কার্পেটে ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ ও স্পেশাল টেক্সটাইলে রফতানি কমেছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাকের মতো রফতানি বেড়েছে প্লাস্টিক, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য, প্রিন্টেড পণ্য এবং কটন ও কটনজাত পণ্যসহ অল্প কিছু পণ্যে। প্লাস্টিক পণ্যে রফতানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাত পণ্যে ১০৭ শতাংশ, প্রিন্টেড ম্যাটারিয়ালসে ২২৩ শতাংশ এবং কটন ও কটনজাত পণ্যে ৬৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ রফতানি বেড়েছে।

এদিকে, বিদায়ী অর্থবছরের সর্বশেষ জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে এর আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। ইপিবির তথ্যমতে, একক মাস হিসেবে ২০২৩ সালের জুনের রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৫৫৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মাসটিতে রফতানি হয়েছে ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার। এর আগে ২০২২ সালের জুনে রফতানি আয় ছিল ৪৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর