চট্টগ্রাম কাস্টমসে রেকর্ড রাজস্ব আদায়
৩ জুলাই ২০২৩ ২০:০৩ | আপডেট: ৩ জুলাই ২০২৩ ২০:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যা প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরের রাজস্ব আয় থেকে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। যদিও এই রাজস্ব ৭৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ কম।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে চলমান ডলার সংকট, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতাসহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে অর্থবছরের শুরু থেকে টানা আট মাস রাজস্ব আদায় প্রায় স্থবির ছিল। স্থবিরতা কাটিয়ে মে মাসে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া জুনে ৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।
কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ বলছে, চোরাচালান রোধ, জালিয়াতি বন্ধসহ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া রোধে নানা উদ্যোগের ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমে রাজস্ব আদায় বেশি হয় এমন পণ্য কম আমদানি হওয়ায় রাজস্ব আয়ও কম হয়।তবে বাজেটের আগে মে ও জুন মাসে গাড়ি আমদানি বেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে পাঁচ মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ছিল। অর্থবছরের শুরুতে জুলাই মাসে কাস্টমসের প্রবৃদ্ধি ৪০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হলেও ক্রমাগত কমে জুন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে।
অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে দশমিক ১৭ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, জানুয়ারিতে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, মার্চ মাসে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, এপ্রিল মাসে ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ সংকোচন বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়।
এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, আগস্টে ৫ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, অক্টোবরে ৪ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা, নভেম্বরে ৫ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, মার্চে ৫ হাজার ৫২ কোটি টাকা ও এপ্রিলে ৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা, মে তে ৭ হাজার ৮৪০ কোটি ও জুনে ৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সি সারাবাংলাকে বলেন, রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটা সম্পূর্ণভাবে আদায় না হলেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ইতিহাসে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে নানামুখী বিধিনিষেধের কারণে ঋণপত্র ও ডলার সংকটে গত অক্টোবর থেকে দেশে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে কিছুটা স্থবিরতা আসে। তবে গত চার মাস পণ্য আমদানি রাজস্ব আদায়ে অনেক বেশি পরিমাণে হওয়ায় আমরা এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছি।
সারাবাংলা/আইসি/আইই