Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পল্লী বিদ্যুতের ‘গাফেলতি’তে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪০

বাগেরহাট: জেলার মোরেলগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে বীরেন মন্ডল (৬০) ও তার স্ত্রী রীতা রানী মন্ডলের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বজয়পুর গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই মৃত্যুকে পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতি হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে, বৃষ্টিতে সুপারি গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

বিজ্ঞাপন

নিহত বীরেন মন্ডল জয়পুর গ্রামের মৃত পূন্য চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। রীতা রানী মন্ডল বীরেন মন্ডলের স্ত্রী। তাদের দু’টি ছেলে রয়েছে। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং আরেক ছেলে বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে থেকে পিসি কলেজে পড়াশোনা করেন। ঘটনার সময় ছেলেরা বাড়িতে ছিলেন না।

নিহতের ছেলে চঞ্চল মন্ডল বলেন, ‘আগুন ধরে একটা তার ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে, তারপরও ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাহলে ট্রান্সফরমারে কাটআউট কেন লাগাবে, এটাতো মানুষের জীবন বাঁচাতে লাগানো হয়। আমার বাবা পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতিতেই মারা গেছেন।’

স্থানীয় অনিতা হালদার জানান, বীরেন মন্ডলের ঘরের উপর থেকে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন গেছে। সকালে গাছের ডাল পরে বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে একটি তার বীরেন মন্ডলের ঘরের সামনে পরে। ওই তার সরাতে গিয়ে বীরেন মন্ডল বিদ্যুতায়িত হয় এবং তার স্ত্রী রীতা রানী মন্ডল নিজ ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতীতেই এই দু’টি প্রাণ গেল।

বিজ্ঞাপন

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায় বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনের খুব কাছেই বীরেন মন্ডলের একটি সুপারি গাছ ছিল। গাছটি তারের উপর পড়ার ঝুঁকিতে ছিল, যার কারণে আমাদের কর্মীরা ওই গাছটি কেটে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বীরেন মন্ডল ওই গাছ কাটতে না দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। শনিবার সকালে বৃষ্টি ও বাতাসে সুপারি গাছটি তারের উপর পরে এবং তার ছিঁড়ে মাটিতে পরে যায়। ওই তার তুলতে গিয়েই বীরেন মন্ডল বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। বীরেনকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রীও মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় চিতলমারি জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পেলে মূল ঘটনা জানা যাবে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।’

সারাবাংলা/এমও

পল্লী বিদ্যুৎ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর