মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর নিযে যা বললেন ম্যাথু মিলার
১১ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪৬
ঢাকা: মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো একক রাজনৈতিক দলকে নয়, বরং প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন ম্যাথু মিলার। তার এ ব্রিফিং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের এমন অবস্থানকে অন্য দেশের প্রতি হস্তক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছে রাশিয়া, চীন ও ইরান। এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়ার জন্য কেউ সমালোচনা কেন করবে, এটি আসলেই আমি জানি না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রেরও চাওয়া এটিই।’
ম্যাথু মিলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না, প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অন্য কোনো দেশ যখন কথা বলে তখন আমরা সেটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখি না। আমরা সেই আলোচনাকে স্বাগত জানাই। গণতন্ত্রকে আরও সমৃদ্ধ করার পথে সুযোগ হিসেবে দেখি। আমরা আসলেই জানি না, অন্য কোনো দেশের এ বিষয়ে আপত্তি জানানোর কী আছে।’
ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর বাংলাদেশ সফর নিয়েও মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাকে প্রশ্ন করা হয়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা?
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ১১ থেকে ১৪ জুলাই আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম সমস্যা, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বিভিন্ন মানবিক উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। উজরা জেয়া বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে (ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ) মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন ও শ্রম অধিকার, সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়েও কথা বলবেন।
সারাবাংলা/ইউজে/একে