চলন্ত বাসে ছিনতাই, ৭৭ ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৫
১২ জুলাই ২০২৩ ১৮:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত বাসে যাত্রীকে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ এই চক্রের সদস্যরা পরিবহন শ্রমিক। তারা দিনে বাসে পোশাক শ্রমিকদের আনা-নেওয়া করে। ভোরে এবং রাতে বাসে যাত্রীবেশে ছিনতাই করে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে নগরীর চান্দগাঁও মৌলভীপুকুর পাড় এলাকা থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত বাস এবং ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে খুলশী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন— মো. আজিম (২৫), সাজ্জাদ হোসেন আজাদ (২৪), মো. নিশাদ (২০), মো. মুন্না (২১) ও সাইফুল ইসলাম নাঈম (২৬)।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে গত রোববার (৯ জুলাই) ভোরে নগরীর আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পারভেজ খান নামে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি একজন গাছ ব্যবসায়ী। মুন্সিগঞ্জ থেকে বাসে গত রোববার ভোরে চট্টগ্রামে আসেন বন্দর থেকে গাছ কেনার জন্য। ভোর সোয়া ৪টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে নেমে তিনি বন্দরে যাবার জন্য একটি লোকাল বাসে ওঠেন।
বাসটি লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত এসে ডান পাশ দিয়ে ইউটার্ন করে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে যায়। হেলপার বাসের দরজা বেঁধে দেয় এবং যাত্রীবেশে থাকা কয়েকজন তাকে মারধর করে জিম্মি করে ফেলে। এসময় তারা মোবাইল, নগদ সাড়ে ২০ হাজার টাকা, ঘড়ি ও কাপড়ের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ফ্লাইওভারে তাকে ফেলে দিয়ে বাসটি চলে যায়।
ওসি সন্তোষ বলেন, ‘পারভেজ খানের অভিযোগ পাবার পর আমরা তদন্তে নামি। জিইসি, ওয়াসা, সানমার, চান্দগাঁও, এক কিলোমিটার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন স্থানের অন্তত ৭৭টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাসটি শনাক্ত করা হয়। মৌলভীপুকুর পাড় থেকে গত (মঙ্গলবার) রাতে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ওই বাসে এসময় আজিম, সাজ্জাদ, নিশান ও সাইফুল অবস্থান করছি। তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের তথ্যে সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়।’
তাদের কাছ থেকে পারভেজ খানের মানিব্যাগ ও জামা কাপড় জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বাসটির ফিটনেস নেই। দিনে পোশাক শ্রমিক আনা-নেওয়ার কাজ করে। গভীর রাতে তারা ওই বাস নিয়ে বের হয়। যাত্রী তুলে সুযোগ বুঝে নির্জন স্থানে নিয়ে জিম্মি করে ছিনতাই করে। ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনএস