ইইউ প্রতিনিধি দলের সফর নির্বাচন সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
১৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:১১
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে, স্বপ্রণোদিত হয়ে নয়। তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে এ সফরে এসেছে। সুতরাং তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে ‘গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমন বহুমাত্রিক সহযোগিতা বিষয়ক। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, বাণিজ্যে অংশীদার। আপনারা দেখেছেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন। রোহিঙ্গা একটি মানবিক সমস্যা, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। অর্থাৎ মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে সহায়ক।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সংসদ বিলুপ্তির দাবি অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক। দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য। গতকাল বুধবার (১২ জুলাই) বিএনপির কর্মসূচি থেকে দেওয়া সরকারের পদত্যাগের দাবি পুরনো কথাই নতুন করে বলা। তবে সেখানে একটি বিষয় অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক, সেটি হচ্ছে তারা যে দাবি দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে- সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।’
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান জাতীয় সংসদ পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দেওয়া একটি দূরভিসন্ধি। এতে প্রমাণ হয়, তারা আসলেই দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেটি করে তারা অসাংবিধানিক কোনো কিছুকে জায়গা করে নিতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দিয়েছে।’
বিএনপি ঘোষিত একদফা দাবিতে আগামী ১৮-১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একদফা তারা মাঝে মধ্যেই ঘোষণা করে। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা দিয়ে বলেছিল বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক জিয়া কিভাবে উড়ে আসবেন সে ব্যাখ্যা তারা দেয়নি, কিন্তু বলেছে তিনিও উড়ে এসে যোগ দেবেন। তারা এ রকম অনেক কিছু বলেছিল। কিন্তু সে আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিল বেগম জিয়ার যখন শাস্তি নিশ্চিত হবে, তখন আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আবার বেগম জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে জীবন সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টাও হালে পানি পায়নি।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস