গৌরনদী থানার এসআইসহ ৪ সদস্য প্রত্যাহার
১৪ জুলাই ২০২৩ ১৮:১০
বরিশাল: তাস খেলার সময় পুলিশের ধাওয়ায় আগৈলঝাড়া উপজেলার ভাল্লুকশী গ্রামের রফিক হাওলাদারের (৪৮) মৃত্যুর ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদার, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও পিকআপ চালক জিহাদ হোসেন।
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখী জানান, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া গৌরনদী মডেল থানার চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভাল্লুকশী গ্রামে তাস খেলার আসরে হানা দেয় পুলিশ। এ সময় পালাতে গিয়ে রফিক হাওলাদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই গ্রামে রফিকের শ্বশুরবাড়ি। তিনি ওই গ্রামে থেকে কৃষিকাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, ভাল্লুকশী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ে বসে দুপুরে তাস খেলছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। তাদের ঘিরে রফিকসহ স্থানীয় অনেকে খেলা দেখছিলেন। এ সময় গৌরনদী থানা পুলিশের একটি টহল দল গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। জুয়ার আড্ডা ভেবে এসআই আব্দুল হক সিকদার ও দুই পুলিশ সদস্য ওই যুবকদের ধাওয়া দেন। এ সময় ভয়ে রফিকসহ সবাই দৌড়ে পালান। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রফিক দৌড়ে পাটক্ষেত ও রাস্তা পাড়ি দিয়ে কাজী মন্নানের বাড়িতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রফিককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করে আসছিল গ্রামবাসী।