রাজশাহীতে মাদক কারবারিদের হামলায় নিহত ২
১৯ জুলাই ২০২৩ ১৯:৫৮
রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় মাদক কারবারিদের সশস্ত্র হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- চরমাজাড়দিয়াড় এলাকার আবু সাঈদ (৩০) এবং হরিপুর বেড়পাড়ার হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৮)।
এদের মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আবু সাঈদ। আর ১০ জুলাই চোরকারবারিদের হামলায় গুরুতর আহত হাবিব এদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি মশিউর জানান, চরমাজাড়দিয়াড় এলাকায় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আবু সাঈদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্য চরমাজারদিয়াড় স্কুলপাড়ার শাহিন, কামাল, কাবিল ও শামসুলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথরোধ করে।
তিনি আরও জানান, এর পর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা সাঈদকে উদ্ধার করে গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, নিহত সাঈদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বুধবার দুপুরে নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় সাঈদের স্ত্রী বিথি খাতুন বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে, পবা উপজেলার হরিপুরের বেড়পাড়ায় মাদক কারবরিদের হামলায় নিহত হাবিবের মরদেহ মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত হাবিব বেড়পাড়া এলাকার গোলাপের ছেলে।
ওসি জানান, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বেড়পাড়ার পার্শ্ববর্তী সোনাইকান্দি এলাকার ঈশার সঙ্গে ফেনসিডিলের টাকা নিয়ে নিহত হাবিবের বিরোধ ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ জুলাই রাতে এলাকার মাদক কারবারিদের গডফাদার সোনাইকান্দির সোহেল ও ঈশার নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাবিবের ওপরে হামলা চালায়।
এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাবিবকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় হাসপাতালে আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার মারা যান হাবিব।
ওসি মশিউর রহমান আরও জানান, গত ১০ জুলাই রাতেই নিহত হাবিবের বাবা গোলাপ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত রোববার মামলার ১ নম্বর আসামি ঈশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য অসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এমই/পিটিএম