পুলিশের ১৩ মামলায় বিএনপির ৬ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
৩০ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪৩
ঢাকা: রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশমুখে গতকাল শনিবার বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে ৯ থানায় মামলা করেছে।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক ১৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৯ বিএনপি নেতাকর্মীকে।
রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানা একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি।
দায়েরকৃত এসব পৃথক মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪৬৯ জনের, অজ্ঞাত আসামি ৭০ থেকে ৮০ জন। ১১ মামলার মধ্যে ৯টি পুলিশ ও দুটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। পরে দারুস সালাম, ডেমরা থানায় আরও দুটি মামলা করা হয়।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকালকে ডিএমপি অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি একটি বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নি সংযোগ করে বাস ভাঙচুর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এপিসি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয়।’
এসব অপরাধে এসব অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ৯ থানায় ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লেখিত আসামি সহ অন্যান্য আসামি গ্রেফতার হয়েছে ১৪৯ জন। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা তা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে জানা যাবে।’
গতকালকে বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে সশস্ত্র অবস্থায় ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা? নাকি তাদের পুলিশকে সহায়তার জন্য রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘গতকাল আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বিএনপি’র কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে অবস্থান করেছেন। এখানে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে