বিএনপি পেছনের রাস্তা দিয়ে আসতে চাচ্ছে, তাদের ঠেকাতে হবে
৫ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২৯
কামরুল হাসান নাসিম, সাংবাদিকতার পেশাক ধরে রেখে ২২টি ভুবনের বাসিন্দা। লেখক, গবেষক, কবি, আবৃত্তিকার, দার্শনিক, চিত্রশিল্পী, গায়ক কিংবা নির্মাতা হিসাবে পরিচিতি তার রয়েছে। তবে তার জ্ঞান বিতরণের পন্থাগুলোকে সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য হিসাবে দেখার অবকাশ রয়েছে। তার রাজনৈতিক মতবাদগুলো নিয়ে যেকোনো রাষ্ট্রের বা রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তা করার উপলক্ষ তৈরি হয়। ব্যতিক্রমি রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আদর্শ হিসাবে দেখেন। তিনিই বলে থাকেন যে, “বাংলাদেশের আপাত নেতৃত্ব শেখ হাসিনার কাছেই থাকতে হবে। খুবই স্পষ্ট করে বলে থাকেন, ‘শেখ হাসিনা হলেন পূর্বসূরী প্লেটোর সেই দার্শনিক রাজা, যিনি দেশের জন্য নিবেদিত সত্তা বলেই অনুমিত হয়। খুবই স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপির দেশ পরিচালনা করার পর্যায়ে কোনো প্রস্তুতি কার্যত নেই।’
নাসিম বলেন, ম্যাকিয়াভেলির সামান্য পরামর্শ আমলে নিয়ে ও তার মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকেই দেশ পরিচালনা করতে হবে। অথচ, নাসিম দেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল, বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা। ২০১৫ সালের ৯ জানুয়রি তিনি দলের আত্মশুদ্ধি চেয়ে পাঁচটি অসুখ হয়েছে বলে দেশব্যাপী আলোচনায় চলে আসেন।
সেই নাসিম ২০২৩ সালে এসে এখন বলছেন, ‘২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক দিয়ে রাজনৈতিক পর্যায়ে একটি নতুন বীজ বপন করেছিলাম। দেখতে দেখতে সেই বীজ এখন চারা থেকে শক্তিশালী, নাকি দুর্বল গাছ হয়ে পড়েছে— সময় উত্তর দিক। আমি মনে করছি, এখনই ফুল ও ফল দেওয়ার সঠিক সময়।’
রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার, রাজনীতিক ও সংগঠক কামরুল হাসান নাসিমের সঙ্গে সারাবাংলার আলাপচারিতায় উঠে এসেছে বিএনপি ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নানা ইস্যু। চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
সারাবাংলা: সূত্র বলছে, ৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে যে, বিএনপি পুনর্গঠন চেয়ে আপনি পুনরায় নীরবতা ভেঙ্গে রাজনীতির ময়দানে আসছেন। উত্তরে কী বলবেন?
কামরুল হাসান নাসিম: দেখুন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথেই আমার জীবন পরিক্রমার পথ বিস্তৃত। তবে এটাও সত্য যে, আমার সত্তাটি রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে ফলত আধ্যাত্মিক জীবনের সঙ্গেও সংসার করছে। বাংলাদেশ প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতীয়তাবাদকে গুরুত্ব দিতে চাইলে ঘুণে ধরা রীতিগুলো বদলাতে ইচ্ছে করে। এই অভিলাষে মন দিয়ে অসম লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা ছিল না, তা নয়। ছিল! রাজনৈতিক দর্পণ ইদানিং বলছে, তুমি তোমার সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। হ্যাঁ, তাই আমি জোরেশোরে এবার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ফিনিশিং দিতে চাই।
সারাবাংলা: পুনর্গঠন উদ্যোগটিকে এখন ঠিক কীভাবে নেবে বিএনপির ভক্ত বা অনুসারীরা?
কামরুল হাসান নাসিম: বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল- বিএনপির শুধুমাত্র একটা গালভরা নামকরণ জুটেছে। আদৌতে দলটি জাতীয়তাবাদের শর্ত পূরণ করে ৪৫ বছরে রাজনীতি করতে পারেনি। দলের মধ্যে পাঁচটি অসুখ সারাতে উদ্যোগী হয়নি। যখন আমি ২০১৫ সালে পুনর্গঠন করার ঝুঁকি নিয়ে বললাম, দলটি জাতীয়তাবাদী নয়, জামায়াতেবাদী দল হয়ে পড়েছে। দুই, দলটি নাশকতাকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে সঙ্গী করেছে। তিন, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। চার, জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি দলটি করছে না। পাঁচ, দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া ও তারেক রহমান দল পরিচালনায় ব্যর্থ এবং প্রাসঙ্গিক বাস্তবতায় তারা দলের অবৈধ নেতৃত্ব। মোদ্দকথা, দলের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চেয়ে বিএনপি পুনর্গঠন চেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমর্থন নিয়ে মাঠে নেমে পড়ি। দলের আত্মশুদ্ধি চেয়ে আমার এই উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছিল। আজও সবার দাবি, দলটিকে গুছিয়ে দিই যেন। বিএনপির তৃণমূল বলে এখন কিছু নেই। দলটি দুর্বল হয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকায় ২৫ হাজার লোক এনে বাৎসরিক/মাসিক মাসোহারা আদলে নিয়োগ দিয়ে মনে করার সুযোগ নেই যে, দলটি অনেক শক্তিশালী। তাই দেখা যাক, কী করা যায়!
সারাবাংলা: আপনার উদ্যোগটিকে ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনেকেই দেখতে চায়। আপনার ভাষ্য কী?
কামরুল হাসান নাসিম: যখন আমি এই উদ্যোগটি শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই এমন অভিযোগ একটি পক্ষ করে গেছে। সর্বশেষ কাউন্সিলের শেষদিনে বেগম জিয়া বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, আমরা নকল, তিনি নাকি আসল! ক’দিন পরে বললেন, এজেন্সির লোক ওই কামরুল হাসান নাসিম! কিন্তু, মনে রাখা দরকার যে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বার্থ উদ্ধারে সিক্ত হয়ে রাজনীতিক হওয়া যায় না। একজন রাজনৈতিক নেতাকে অতি অবশ্যই জনশ্রেণির গোষ্ঠীগত ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় রাজনীতির করার যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই জন্য আমার রাজনীতি করার পথটি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য খানিকটা সুবিধা হয়ে গেলেও বিপ্লব করতে চাইলে বা ধারা ভাঙতে চাইলে অনেক কিছুই শুনে যেতে হবে। এতে করে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না, মন খারাপ করা যাবে না। আমি তো বিশ্বাস করি, এখন অনেকেই সত্যটা ধারণ করতে পেরেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, কামরুল হাসান নাসিম আদর্শিক লড়াই করার ক্ষেত্রে খুবই একরোখা এবং সে যা বলে তা ধারণ করারও চেষ্টা করে। সে কারণেই দলের রোগ চিহ্নিত করে আগে ঘর ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম এবং ইতিহাসের সত্যটা বলার বা ধারাভাষ্যে থাকার অভ্যাসে না যেতে পারলে সার্বজনীন সমর্থনও মিলবে না। শুধুমাত্র নিজ দলের অন্ধ সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করলে মানুষ হওয়া যায় না। একটি দলের কর্মী হতে হয় তখন। এমন কৃষ্টি রাজনীতিক হওয়ার অন্তরায়। বাংলাদেশে রাষ্ট্র, সরকার, রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়া মানুষগুলোর প্রতি সুপারিশ, সমর্থন, পরামর্শ দেওয়ার উদাহরণ নেই। সব দল তো রাষ্ট্রীয় সেবায় যায় না। কিন্তু আপনি রাজনৈতিক ঘরানার মানুষ হতে চাইলে শুধুমাত্র নিজের দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারেন না। রাষ্ট্রের স্বার্থ বড়। সেই বিবেচনায় আমি প্রায়শই বলি, বিএনপি এখন দেশ পরিচালনা করার সামর্থ্য অর্জনের রাস্তায় নেই। দলটি হোমওয়ার্ক করতে পারেনি। অনেকগুলো সংকট রয়েছে। যা থেকে উত্তরণে সময় লাগবে।
সারাবাংলা: সুনির্দিষ্টভাবে বলবেন, আপনি ঠিক এখন কী করতে চাইছেন?
কামরুল হাসান নাসিম: দেখুন, আমার আগামী দিনের লড়াই হলো, বৈশ্বিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যু নিয়ে কাজ শেষ করা। সেটা নিষ্পত্তি হতে ২০৩০ সাল লেগে যাওয়ার কথা। হয়তো ২০২৫ সাল থেকে শুরু করব। তাই বিএনপি ও বাংলাদেশ নিয়ে আমি আর এক বছরের মত করে ভাবব এবং এর মধ্যে কাজ শেষ করব। আমার ২২টি অঙ্গন ঘিরে বাংলা, বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির জন্য কী কী করতে পারছি, পেরেছি তা এখন আগামী এক বছরে বিতরণ করতে চাই। রাজনীতির প্রশ্নেও তাই দায়বদ্ধতা আছে। আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম, বিএনপির মতো রাজনৈতিক অপশক্তিকে মূলধারার গণতন্ত্রমনা একটি পরিচ্ছন্ন দল করে দেব। সেটা ক্রেডিবল কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে। দল কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায়, বিএনপি একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেছনের রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। যা আমাদের দেশের রাজনীতির জন্য অশুভ উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তারা সফল হলে দানব হয়ে উঠবে। যেহেতু দলের আত্মশুদ্ধি পর্যায়ে কাজ করা হয়নি। গেল ২৫ বছরের কাউন্সিলরদের দ্বারা দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। কাজেই বিএনপি পুনর্গঠন করেই ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ৮ আগস্ট থেকে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পুনযাত্রার মাধ্যমে দলের সক্রিয় লক্ষাধিক কর্মী নিয়ে আমরা নয়াপল্টনে জাতীয়তবাদী জনতার উচ্চ আদালত বসাতে সক্ষম হব। যদিও কাজটি খুব সহজ নয়। হয়তো টানা এক দুই মাস লেগে যেতে পারে। তবে ভবিষ্যৎ সুমসৃণ করতে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী শক্তি হয়েই রাষ্ট্রের কাছে গণতন্ত্র চাইব। নিজ দলের মধ্যেই গণতন্ত্র নেই, অথচ, আপনি মোড়লদের কাছে যেয়ে কান্নাকাটি করছেন। চিৎকার করে ভোট দাও, তত্ত্বাবধায়ক দাও বলছেন— এই ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা অনুশীলন বটে। কোনো একজন ব্যক্তিবিশেষ রাষ্ট্র মেরামতের ৩০/৩৫টি দফা দলের জন্য লিখে দিলেন, আর আপনি তা ধারন না করেই কথিত আন্দোলন সংগ্রামের চিত্রনাট্য তৈরি করবেন। এমন উদ্যোগকে প্রহসন বলে।
সারাবাংলা: বিএনপি পুনর্গঠনের অভিযাত্রা ২০১৫ সালে শুরু হলেও প্রায় ত্রিশটির অধিক কর্মসূচি করার পরে ২০১৬ সালে আপনি দলীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে চতুর্থবারের মতো দলের নয়া পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রশ্ন হলো, আপনি যে এবার সফল হবেন, এমন ভাবনা কেন ভাবছেন?
কামরুল হাসান নাসিম: ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসাতে সক্ষম হই। সেই প্রতীকী আদালত থেকে দু’টো রায় পাই। এক, দলের গঠনতন্ত্র স্থগিত করা হল। দুই, জাতীয়তবাদী জনতার উচ্চ আদালত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বসবে। তখন আমি দলের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগটিকে দলীয় বিপ্লব হিসাবে ঘোষণা রাখি। এও বলি, দিনক্ষণ তারিখ দিয়ে এই বিপ্লবে বিজয়ী হওয়া যাবে না। ছয় মাস আগেও দলের ছোট্ট একটা মিছিল কার্যালয় অভিমুখে গিয়েছিল, যা ওই পক্ষ দ্বারা বরাবরের মতো নগ্ন উদ্যোগে প্রতিহত হয়। তারা অস্ত্র ব্যবহার করে। এই পর্যন্ত কখনই এই পুনর্গঠন করতে যেয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহিংসতার পথ আমার পক্ষ থেকে বেছে নেওয়া হয়নি। দলীয় বিপ্লবের মহড়া করা হয়েছে। যেখানে বলতে চাওয়া হয়েছে যে, তোমরা সংশোধিত হও, দলের কাউন্সিল ডাকো, পাঁচটি অসুখ সারাও। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি তারা। ৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত কর্মসূচি কী দিচ্ছি সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে দলীয় বিপ্লবের মহড়া আর নয়, এবার সত্যিকার অর্থেই প্রতীকী উচ্চ আদালত বসানোর বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে যাচ্ছি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিএনপি পুনর্গঠনে নয়াপল্টনে উচ্চ আদালত বসে যাবে— এটা সত্য।
সারাবাংলা: এমন উদ্যোগে কী কী ঝুঁকি থাকছে আপনার জন্য?
কামরুল হাসান নাসিম: প্রথমত, আমি ঝুঁকি নিতে জানি। দ্বিতীয়ত, জনপ্রিয়তা অর্জনের নেশায় যেহেতু বুঁদ থাকার অনাগ্রহ আছে, কাজেই কাজটি করতে কেবল মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, তারেক রহমানরা হিংস্র পশুর মতোই। আমি বিশ্বাস করি, দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্ন একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেজন্য কিছু মানুষের মনে সাময়িকভাবে এমন উদ্যোগটি উপদ্রব হিসেবে বিবেচিত হলেও একটা সময় তারা আমার কথা স্মরণ করবে। দল কোনো ব্যক্তির হতে পারে না। তবে একজন ব্যক্তিও রাজনীতির ক্যানভাসে রং বদলিয়ে দিতে পারে। তখন তাকে অনিবার্য নেতৃত্ব হিসেবে ঘোষণা করায়। যেমনটি, এই দেশে বঙ্গবন্ধু বা আজকের শেখ হাসিনা হতে পেরেছেন। তৃতীয়ত, সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও প্রভাব পড়বে। তখন আমার উপন্যাস, কবিতা, গান কিংবা চলচ্চিত্র বা আবৃত্তি সহ অন্যান্য ভুবনগুলো ঘিরে ধরেই নিতে হবে যে, স্বাধীনতাবিরুদ্ধ শক্তির তাঁবুতে থাকা মানুষগুলো পাঠক, শ্রোতা বা দর্শক হতে চাইবে না। তা তারা না হতে চাইলে সমস্যা দেখছি না। জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য রাজনীতি করি না। আমি আজ যা দেখি, বুঝি, অন্যরা তা বুঝতে সময় নেয় আরও এক/দুই যুগ পরে। তা সেটা অন্যান্য ভুবন ঘিরেও বলা যায়। আমার সামর্থ্য সম্পর্কে অবগত বলেই বলতে পারি, আমার সৃষ্টির সব কিছু আমাকে কোনো না কোনো সময়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করবে। দার্শনিক মতবাদ, উপন্যাস, কবিতা থেকে চলচ্চিত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে এই গ্রহের শেষ পরিণতির আগ পর্যন্ত। জীবন হলো, বোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা সেতুর দূরত্ব সদৃশ; পেরুলেই যে গন্তব্য, তা তোমাকে হতাশ করে। কারণ, মৃত্যুই নির্ধারিত ঠিকানা। আর সেতুর খোঁজই যাদের কাছে নেই, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও জনমত রাখার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলতে হয় যে, ওই দ্যাখো সেতু, বোধ দ্বারা সেতু পার হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে চলে যাও।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম
আসল বিএনপি উদ্যোক্ত কামরুল হাসান নাসিম টপ নিউজ বিএনপি পুনর্গঠন